প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুননির্বাচিত হওয়ায় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), কাতার, মিশর, লুক্সেমবার্গ, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ব্রাজিল তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এক অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে আমাদের দুটি দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আপনার নতুন মেয়াদে আরো গভীর ও সুদৃঢ় হবে।’
পৃথক বার্তায় মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নতুন মেয়াদে সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করায় শেখ হাসিনাকে তার উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই উচ্চ পদে আপনার পুনঃনির্বাচিত হওয়া আপনার দেশের জন্য আরো অগ্রগতি অর্জনের লক্ষ্যে আপনার সক্ষম নেতৃত্বের প্রতি আপনার দেশের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত করে।’
আবদেল ফাত্তাহ বলেন, ‘মিশর ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।’ তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেন, দুই দেশের জনগণের পারস্পরিক কল্যাণের জন্য আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তার অভিনন্দন পত্রে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার চতুর্থ মেয়াদে তার নেতৃত্ব দেওয়ার প্রশংসা করেছেন যার নজির হচ্ছে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তার সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন। তিনি শেখ হাসিনার পঞ্চম মেয়াদে বন্ধুপ্রতীম দেশটির জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য কামনা করেন।
লুলা দা সিলভা আশ্বাস ব্যক্ত করেন যে, সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ সবসময় ব্রাজিলের অবিচল অংশীদার হয়ে থাকবে।
তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনে আবদ্ধ দুটি দেশ এ সম্পর্ককে আরো জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
২০২৩ সালটি ছিল দুটি দেশের সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জোহানেসবার্গে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে তার এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের কথা স্মরণ করেন যেখানে তাদের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের পথ অনুসরণ করার এবং উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি ও কল্যাণের বিষয়ে আলোচনা করার সুযোগ হয়েছিল। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্মত সময়ে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান।
পৃথক চিঠিতে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জাসিম আল-থানি, সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস-প্রাইম মিনিস্টার, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, লুক্সেমবার্গের ভাইস-প্রাইম মিনিস্টার, পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী, সহযোগিতা ও মানবিক কর্মসূচি বিষয়ক মন্ত্রী জেভিয়ার বেটেল বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও সুখ এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের আরো কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
এক অভিনন্দন বার্তায় তিনি লেখেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে শপথ গ্রহণ করায় মালয়েশিয়ার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার দেশকে অসাধারণভাবে পরিচালনা করেছেন এবং বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সাফল্যের নজির হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।’