বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন আজ ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাসভবনে শেখ রাসেলের জন্ম। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদের এক সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০২১ সাল থেকে দিনটিকে শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ৮টায় বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেড।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। সেদিন ঘাতকচক্রের নির্মম বুলেটের হাত থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলও।
সে সময় রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল।
গতকাল আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহীদ শেখ রাসেল আজ বাংলাদেশের শিশু-কিশোর, তরুণ, শুভবুদ্ধি বোধসম্পন্ন মানুষদের কাছে পরম আদরের নাম। অবহেলিত, পশ্চাৎপদ, অধিকারবঞ্চিত শিশুদের আলোকিত জীবন গড়ার প্রতীক হয়ে গ্রাম-গঞ্জ-শহর তথা বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ জনপদ-লোকালয়ে শেখ রাসেল আজ এক মানবিক সত্তায় পরিণত হয়েছে। মানবিক চেতনাসম্পন্ন সব মানুষ শেখ রাসেলের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের শোককে হৃদয়ে ধারণ করে বাংলার প্রতিটি শিশু-কিশোর তরুণের মুখে হাসি ফোটাতে আজ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলের দণ্ডপ্রাপ্ত খুনিরা এখনো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পলাতক আছে। তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা আজ সময়ের দাবি।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণেই ১১ বছরের শেখ রাসেলকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।