শুভ জন্মদিন ‘দৈনিক সকালবেলা’। আজ ৩০ এপ্রিল ২০২১ইং দৈনিক সকালবেলা পত্রিকার ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ২৫ বছরে পদার্পণ। সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে দৈনিক সকালবেলা অতিক্রম করছে দুই যুগ। একজন স্বপ্নদ্রষ্টা সৈয়দ এনামুল হক স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অন্যমাত্রার সংবাদপত্রের। তাঁর সেই স্বপ্নের সফল বাস্তুবায়নে ১৯৯৭ সালে দৈনিক সকালবেলার যাত্রা শুরু। আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, দৈনিক সকালবেলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব সৈয়দ এনামুল হকের হাত ধরে শুধু সামনে এগিয়ে চলা। দীর্ঘ ২৪ টি বছর তিনি পরম স্নেহ, মমতা আর ভালোবাসা দিয়ে সন্তানসম লালন করেছেন ‘দৈনিক সকালবেলা’কে। জনাব এনামুল হকের কঠোর পরিশ্রম, নির্ভীক সাংবাদিকতা ও আপোষহীন নেতৃত্বে ‘দৈনিক সকালবেলা’কে এনে দিয়েছে বিশ্বাস ও আস্থার এক অনন্য মাত্রা। আজ এই শুভ দিনে, ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ২৫ বছরে পদার্পণের প্রাক্কালে আমরা পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি দৈনিক সকালবেলা এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব সৈয়দ এনামুল হককে, তিনি বিগত ২৭/১০/২০২১ইং তারিখে ইউনাইটেড হাসপাতাল,গুলশান, ঢাকা’এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ( ইন্নালিল্লাহি———রাজিউন)। তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে দেশ হারিয়েছে একজন সৎ, যোগ্য ও আপোষহীন সাংবাদিককে। সংবাদপত্র জগতের এক উজ্জ¦ল নক্ষত্র, দক্ষ, যোগ্য সাংবাদিক নেতা, একজন লড়াকু সৈনিক। আর ‘দৈনিক সকালবেলা’ হারিয়েছে তাঁদের চরম আস্থা ও ভালোবাসার অভিভাবককে। এই মহান ব্যক্তিত্বের প্রতি অকুন্ঠ কৃতজ্ঞতা ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী।
‘বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ প্রকাশে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ এ আদর্শকে সামনে নিয়ে এগিয়ে চলেছে ‘দৈনিক সকালবেলা’। দেশের যে কোন ক্রান্তিলগ্নে দৈনিক সকালবেলা তাঁর যথাযথ ও বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। সত্য প্রকাশে অকুন্ঠ ও আপোষহীন চরিত্রই ‘দৈনিক সকালবেলা’কে করেছে অনন্য ও স্বকীয়। এই অনন্য স্বকীয়তা নিয়েই ‘দৈনিক সকালবেলা’ পার করবে শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও।
দৈনিক সকালবেলা’র এই নিরলস এগিয়ে চলায় সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা অগনিত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতা ও দৈনিক সকালবেলায় কর্মরত সাংবাদিক,কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ দেশবাসীকে সকালবেলা পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। এ সুদীর্ঘ পথচলায় দৈনিক সকালবেলা’র পাশে থাকার জন্য সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতেও সকলে একই ভাবে দৈনিক সকালবেলা’র পাশে থেকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে এই পথ চলাকে নির্বিঘ্ন রাখবেন।
লেখক: বেগম নিলুফার আক্তার
অধ্যক্ষ
পল্লবী মহিলা ডিগ্রী কলেজ।