কক্সবাজার প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ গতিতে এগিয়ে চলছে ভাস্কর্যের কাজ, আগামী শীত মৌসুমের আগেই শেষ হবে নির্মাণ কাজ। কক্সবাজারের মহেশখালী জেটিতে পানের সাদৃশ্যে ভাস্কর্যের সাথে থাকছে পাবলিক সিটিং,নামাজের ব্যবস্থা,পাবলিক টয়লেট,,রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থা,
পর্যটকদের শপিং এর ব্যবস্থা।
২১ মে ২৩ রবিবার কক্সবাজারের মহেশখালী জেটির প্রবেশ পথে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের কাজ পরিদর্শনে গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে উপরোক্ত তথ্যাদি জানা যায়। উল্লেখ্য গত ২৮ এপ্রিল ২৩ শুক্রবার সকাল ১০ টায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হয়েছিল । এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার -২ আসন মহেশখালী -কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক। তিনি তার বক্তব্যে বলেছিলেন মহেশখালীকে নিয়ে সরকারের বহু উন্নয়ন পরিকল্পনার স্বপ্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু কিছু আপনারা দেখতে শুরু করেছেন। গত ২৬ এপ্রিল মহেশখালীর মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ জাহাজ ঢুকে বিশ্বব্যাপি পরিচিতি লাভ করেছে। আজকের মহেশখালীর প্রবেশ পথের এই ভাস্কর্যে পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়বে, মহেশখালীতে বিশ্বমানের হোটেল হবে,রেস্টুরেন্ট হবে,মহেশখালীর উন্নয়ন হলে স্থানীয়দের অর্থনীতির দ্বার উন্মোচিত হবে। তারই নিরেখে দেখা যায়, মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দরে গত ১৯ মে ৬৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আবারও একটি জাহাজ ভিড়েছে এবং অন্য দিকে দ্রুত গতিতে চলছে ভাস্কর্য নির্মাণ কাজ। পাল্টে যেতে শুরু করেছে মহেশখালীতে উন্নয়নের চাকা। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, এনজিপি, এনডিসি, পিএসসি, বিএন( অব) বলেছিলেন আবহাওয়া দূর্যোগের সময় সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা আটকা পড়ে যায়। অনেক সময় পর্যটকদের দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হয় এবং এটা একটি ছোট দ্বীপ এটার পরিবেশকে আমরা ধ্বংস করতে পারিনা। তাই মহেশখালীকে পর্যটনের বিকল্প হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মহেশখালীতে সোনাদিয়া ও গভীর সমুদ্র বন্দরসহ পর্যটকদের আকর্ষণের বহু কিছু আছে । এই ভাস্কর্যের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে সামনে আরো অনেক কিছুর পরিকল্পনা রয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিনিয়ার খিজির খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন। প্রাথমিক ভাবে ১ এক কোটি টাকা বাজেটে এইচ এ এন্টারপ্রাইজ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা রয়েছে।