হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গত সোমবার গভীর রাতে কুয়েত এয়ারওয়েজের বিমানে এক শিশুকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে জানা যায়, শিশুটি এ ফ্লাইটের যাত্রীই নয়। এমনকি তার কাছে কোনো পাসপোর্ট বা বোর্ডিং পাসও নেই। এমন ভূতুড়ে ঘটনায় কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পরে শিশুটিকে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
গত সোমবার দিবাগত রাত ৩টা ১০ মিনিটে কুয়েত এয়ারওয়েজের ঢাকা থেকে কুয়েতগামী ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। পাসপোর্ট-বোর্ডিং পাস ছাড়া কিভাবে শিশুটি প্লেনে উঠে গেল- এ নিয়ে চলছে তোলপাড়। প্রশ্ন উঠেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও।
জানা যায়, কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি তখন (কেইউ-২৮৪) উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্লেনের দরজাও বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময় ৮-৯ বছরের একটি ছেলে প্লেনের ভেতরে হাঁটাচলা করছিল। কেবিন ক্রু শিশুটিকে সিটে বসার পরামর্শ দেন।
তখন শিশুটি পাসের সিটে বসে পড়ে। ওই সিটের যাত্রী শিশুটিকে তার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে বসতে বলে, কিন্তু শিশুটি সেখানে বসেই থাকে। বাবা-মায়ের বিষয়েও নীরব থাকে। এ সময় ওই যাত্রী বিষয়টি কেবিন ক্রুর নজরে আনেন। তারা ছেলেটিকে তার বাবা-মায়ের বিষয়ে জিজ্ঞেস করেন। কিন্তু শিশুটি এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।
একপর্যায়ে কেবিন ক্রুরা হেড কাউন্ট করেন (যাত্রীসংখ্যা গণনা করা)। তখন একজন যাত্রী বেশি পাওয়া যায়। পাইলট উড্ডয়নের আগে বিমানের দরজা খুলে শিশুটিকে বিমানবন্দরের এভিয়েশন সিকিউরিটির কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশনা দেন। পরে ছেলেটিকে বিমান থেকে নামিয়ে সিকিউরিটির কাছে দেওয়া হয়। বর্তমানে ছেলেটি বিমানবন্দর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক মিয়া বলেন, শিশুটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। শিশুটির নাম জুনায়েদ মোল্লা। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বারইহাটিতে। শিশুটির বাবা-মা এলে সিনিয়র অফিসারদের পরামর্শ নিয়ে শিশুটির বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।