নোয়াখালী থেকে আবদুল বাসেদঃ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমন মিয়াকে রিকশা উপহার দিলেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জন্মলগ্ন থেকেই দুই পা বাঁকা। হামাগুড়ি দিয়ে তার বেড়ে ওঠা। বড় হওয়ার পর বাকা পায়ের কারনে রিকশার প্যাডেল চেপে রিকশা চালাতে পারতেন না। রিকশার চাকা থেমে যাওয়ার পাশাপাশি বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সংসারের চাকাও বন্ধ হয়ে যায় তার। কোন কূল-কিনারা পাচ্ছিলেন না রিকশা চালক সুমন মিয়া। অপরদিকে মাথা গোঁজার নেই ঠাঁই। অন্যের বাড়িতে বসবাস করে তার জীবন চলছিলো। এলাকার ধন্যাঢ্য দের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও উপার্জনের কোন পথ মেলেনি।মঙ্গলবার দুপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুমন মিয়াকে রিকশা উপহার দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: ইসমাইল হোসেন।
সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী রিকশা চালক সুমন মিয়া অন্যের তুলনায় যাত্রী কম পায়। যাত্রী ডেকে তুলতে পারে না। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারে না। অন্যের কাছে হাত না পেতে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। তার মাথা গোঁজার নেই কোন জমি। সে প্রকৃত ভ‚মি ও গৃহহীন। স¤প্রতি তার এই অসহায়ত্ব নিয়ে গণমাধ্যমে একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি ডেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি থাকার ঘর দিয়েছেন। আর কর্মসংস্থানের জন্য একটি রিকশা উপহার দিয়েছেন। প্রতিবন্ধী সুমন মিয়া ছোট থেকেই পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। ভিক্ষাবৃত্তির মানসিকতা না থাকায় তার পেশাকে আরও একটু সহজ করতে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাকে এটি উপহার দেওয়া হয়েছে। উপহার পেয়ে আনন্দিত সুমন মিয়া উচ্ছাসিত হয়ে তিনি বলেন, ইউএনও আমাকে থাকার জন্য ঘর দিয়েছেন আমি পরিবার পরিজন নিয়ে ওই ঘরেই বসবাস করছি। এখন আবার আমাকে রিকশা কিনে দিয়েছেন। আমি যতবারই উপজেলায় এসেছি তিনি আমাকে আর্থিক সাহায্য করেছেন। তিনি একজন মানবিক ইউএনও। তার কাছে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ। রিকশা উপহার দেওয়ার সময় তার বৃদ্ধ পিতা মো: জাফর, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জহিরুল হক, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।