মির্জা মাহামুদ রন্টু (নড়াইল):
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ প্রতিষ্ঠান স্থাপিত ২০০৩ সালে। পৌরবাসীদের অভিযোগ ১৬ বছরের বেশি সময় পারহলেও সন্তোষ জনক কোন সেবা দিতে পারেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়ন মূলক কাজের অংশ হিসেবে লোহাগড়া পৌরসভার উন্নয়নে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দুই খাতে বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে থোক বরাদ্দ রয়েছে ৬৮ লাখ টাকা এবং বিশেষ বরাদ্দ রয়েছে ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়াও সোলার লাইট স্থাপনের জন্য বরাদ্দ এসেছে ১ কোটি টাকা।
দেশ উন্নয়ন এবং তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার ধারাবাহিক ভাবে নানা মুখি কাজ অব্যহত রেখেছে। সেই তথ্য তৃণমূল জনগোষ্ঠির কাছে পৌছে দিতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার কর্মীরা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় নড়াইল জেলার লোহাগড়া পৌরসভার উন্নয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা কোন কোন প্রকল্পে ব্যায় হয়েছে তার তথ্য চাইলে সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলাম অদৃশ্য ইশারায় তথ্য গোপনে মরিয়া হয়ে ওঠেন। তিনি গত সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, কিছু প্রকল্পের তালিকা আমার কাছে এখন নেই। আপনারা আগামী কাল (মঙ্গলবার) দুপুরের পর আসেন। তখন আমি সব প্রকল্পের তালিকার কপি আপনাদেরকে দেওয়া হবে।
পর দিন মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পুনরায় প্রকল্পের তালিকা আনতে সহকারী প্রকৌশলী মো. শফিউল ইসলামের অফিসে গেলে তিনি প্রথমে গড়ি মসি করলেও পরে ছাপ জানিয়ে দেন এসব তথ্য পৌর মেয়র আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের দিতে নিষেধ করেছেন।
তবে অফিস চলাকালিন সময়ে এ বিষয়ে কথা বলতে পর পর দুই দিন পৌর মেয়র মো. আশরাফুল আলমকে পৌর কার্যালয়ে গিয়ে পাওয়া যায় নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অফিসে যাওয়ার পরে তথ্য দেওয়া যাবে। অভিযোগ রয়েছে নিয়মিত পৌর মেয়রকে অফিসে না পেয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশী নাগরিকগণ।