Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ঈগল প্রার্থী মামুন
--প্রেরিত ছবি

লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ঈগল প্রার্থী মামুন

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ভোটের মাঠে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হয় নতুন এক লড়াই। এ লড়াইয়ে একদিকে আছেন ১৪ দলীয় জোটভুক্ত নৌকা প্রতীকের (জাসদ ইনু) প্রার্থী মোশারফ হোসেন। “নৌকা” প্রতীকের মোশাররফ হোসেন ১৯৮৭ সালে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জাসদের এমপি ছিলেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে “ঈগল” প্রতীকের আবদুল্লাহ আল মামুন আছেন। লক্ষ্মীপুর জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক এমপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন “ঈগল” প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইস্কান্দার মীর্জা শামীম “ট্রাক” প্রতীক নিয়ে ভোট করছেন। তবে মোশারফ হোসেন এ আসনে জাসদের প্রবীণ নেতা, ইস্কান্দার মির্জা শামিম নতুন মুখ হওয়ায় আবদুল্লাহ আল মামুনের প্রতিই আস্থা রাখতে চান ভোটাররা।
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের ভোটাররা বলেন, সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন এর আগে ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়ে এ আসনের প্রধান সমস্যা ছিলো নদীভাঙন রোধসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেন। অসমাপ্ত নদীর বাঁধের কাজ সমাপ্ত করতে আবদুল্লাহ আল মামুনের ওপরই আস্থা রাখছেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের ভোটাররা। অপরদিকে, আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী ইস্কান্দার মীর্জা শামীমের প্রচার-প্রচারণায় আওয়ামী লীগের নেতা ও চরকাদিরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আশ্রাফ উদ্দিন রাজুকে দেখা যায়। ইস্কান্দার মির্জা শামিম নোয়াখাালীর কোম্পানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। তিনি এখানে নতুন মুখ হওয়ায় তার পক্ষে ভোটে জেতা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটভুক্ত প্রার্থী মোশারফ হোসেন ১৯৮৭ সালে এ আসন থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের এমপি ছিলেন। পরে গণআন্দোলনের মুখে এরশাদ সরকারের পতন হওয়ার পর গত ৪০ বছর ধরে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি তেমন। ১৯৮৭ সাল-পরবর্তী সময়ে ঢাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার কারণে জনগণের কাছে এখন নতুন মুখ।
অন্যদিকে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে উপজেলা আ.লীগের সামনের সারির কয়েকজন নেতা প্রচার-প্রচারণা চালালেও ভেতরে ভেতরে কাজ করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হয়ে। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ মুরাদ, সহ-সভাপতি ড. আশ্রাফ আলী চেীধুরী সারু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাছের ও ভিপি হেলালসহ আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে ভোট চাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের জন্য।
অপরদিকে লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ হিরন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর, রামগতি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন হেলালসহ দুই উপজেলার যুবলীগের সব নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের পক্ষ হয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। যে কারণে আওয়ামী লীগের মনোনীত জোটের প্রার্থীর চেয়ে অধিক ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল মামুনের জয়ের সম্ভাবনা খুবই বেশি বলে জানান তারা।
উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর-৪ আসন থেকে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও আওয়ামী লীগের মনোনীত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
নির্বাচন কমিশনের যাচাইয়ে প্রার্থীতা বাতিল হলে প্রতীক বরাদ্দ পান ৬ জন। এর মধ্যে ১৪ দলের প্রার্থী মোশারফ হোসেন “নৌকা”, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মোহাম্মদ ছোলায়মান “একতারা”, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন “ঈগল”, ইস্কান্দার মির্জা শামীম “ট্রাক” ও মাহমুদা আক্তার “তবলা” এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান “রকেট” প্রতীক পান।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply