মোহাম্মদ আলী, লক্ষ্মীপুরঃ লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি দফায় দফায় উজানের পানির চাপে মেঘনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙ্গনের ভয়াবহতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে । নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি স্থাপনা ও ফসলী জমিসহ বিস্তীর্ণ এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, রামগতি উপজেলার বড়খেরী, চরআলগী ও কমলনগর উপজেলার ফলকন, চরলরেন্স, পাটোয়ারীরহাট, সাহেবেরহাট এলাকায় মেঘনার ভাঙ্গনের তান্ডবলীলা চলছে। নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কমলনগর উপজেলার নাছিরগঞ্জ, নবীগঞ্জ, লুধুয়া ও রামগতি উপজেলার জনতাবাজার এলাকা, মেস্তী পাড়া হুমকির মুখে রয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। এ পর্যন্ত নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সড়ক ও জনপথের আঞ্চলিক অফিসসহ অসংখ্য সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙ্গন কবলিত রহিম মাঝি জানান, তার নিজের বাড়ি ভেঙ্গেছে চার বার। গত বছরও ছিলো তারা তাদের নিজের বাড়িতে। নিজের বাড়িতে বাগান ছিল, পুকুর ছিল। এই বাড়িটাই ছিল তার একমাত্র শেষ সম্বল। এখন তার কিছুই নেই। সব কিছু হারিয়ে এখন অন্যের জমিতে ঘর বানিয়ে কোনমতে জীবন বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এখন অন্যের এ জায়গাটাও যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে সে পরিবার পরিজন নিয়ে কি করবে এই নিয়ে দুচিন্তায় আছেন তিনি ।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ জানান, অস্বাভাবিক ডুবোচরের কারণে নদীর গভীরতা তীরের কাছাকাছি এসে পড়ে। যে কারণে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়ায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেও প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। তবে আপদকালীন প্রকল্পের আওতায় ভাঙন প্রতিরোধে তাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।