অনলাইন ডেস্ক:
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আছে। সরকারের পরামর্শক কমিটি আছে। তারা যদি মনে করে চলমান বিধি-নিষেধ এগিয়ে নেওয়া দরকার, তাহলে এগিয়ে নিতে হবে। তবে সবকিছু পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। রবিবার বিকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এ কথা জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, আমরা ফেরি বন্ধ করি নাই। চলমান আছে। কারণ ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্স, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারি বিশেষ প্রয়োজনে মুভমেন্ট দরকার হয়। এ জন্য এটা চালু থাকবে।
গত রোজার ঈদে বিধি-নিষেধ ভেঙে ফেরিতে করে মানুষ বাড়ি গেছে। এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর প্রচুর মানুষ ফেরিতে গেছে, লোকসমাগম হয়েছে। যাত্রী পারাপারে আমরা কঠোর ছিলাম। এখনও আছি। তবে এবার স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে জীবনে অনেক ঈদ আসবে। আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব যদি করোনাকে জয় করতে পারি।
দেশের সব সমুদ্র ও স্থলবন্দরকে করোনার ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ সকল স্থলবন্দরে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আগামী বুধবার থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ হাজার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পরবর্তীতেও এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। বন্ধ হবে না।
চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ শিডিউল নিয়ে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে সবকিছু স্বাভাবিক আছে। কোনো সংকট নেই।