অনলাইন ডেস্ক:
লকডাউনের সময় নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে খাবারের কষ্টে না থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, বৈঠকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে শহর এলাকায় বেশি সমস্যা হয়, সেখানে পরিবহন শ্রমিকরা কষ্টে থাকেন। সব কিছু খেয়াল রেখে যেন সাহায্য নিশ্চিত করা হয়। বর্তমানে মৌসুম থাকায় আমের দাম সস্তা। নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য দেওয়া সরকারি সহায়তায় আমও যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে ফাইজারের এক লাখ ভ্যাকসিন শুধু বিদেশগামী কর্মীদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ওই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করা যায় কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) কাছে জানতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতি মিললে তা দ্রুত কার্যকরেরও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, করোনা মহামারির বিস্তার ঠেকাতে কঠোর বিধি-নিষেধ জারি হচ্ছে ১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। এর পরও লকডাউন বাড়বে কি না, তা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার কঠোর বিধি-নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদসচিব। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, এবার মুভমেন্ট পাস লাগবে না। যাঁরা জরুরি কাজের জন্য বের হবেন, সেটা ভিন্ন বিষয়। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, লাশ দাফন, হাসপাতালে রোগী নেওয়া বা রোগী হিসেবে যাওয়া, ওষুধ কেনা, গণমাধ্যমের কাজসহ খাদ্যপণ্যের গাড়ি, কৃষি, পোল্ট্রির সঙ্গে যুক্তদের কঠোর লকডাউনের মধ্যেও চলাচলে বাধা থাকবে না। উল্লিখিত বিষয়গুলোসহ সরকার নির্ধারিত অন্যান্য জরুরি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছাড়া অন্যদের ঘর থেকে বের হলেই ব্যবস্থা নেবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।