কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
র্যাব -১ সদর দপ্তর ও র্যাব-১২ সিপিসি-১ এর যৌথ অভিযানে দশম শ্রেনীর স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে গনধর্ষন মামলার প্রধান আসামী আলামিন হোসেন (২৪) নামের যুবক গ্রেফতার।
গত ২ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখ দিবাগত রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায়
গাজীপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আলামিন হোসেন কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার আলাউদ্দিন নগর এলাকার মুক্তার হোসেনের ছেলে৷
সোমবার (৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টার সময় কুষ্টিয়া র্যাব ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি থানাধীন নন্দলালপুর ইউনিয়নের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে পার্শ্ববর্তী
আলাউদ্দিন নগর গ্রামের যুবক আলামিন হোসেন (২৪) প্রেমের অভিনয় করে আসছিলো।গত ০৬ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ রাতের বেলা আলামিন হোসেন স্কুল ছাত্রীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করছিল তার দুই বন্ধু ইমন ও রাকিব। এক পর্যায়ে আলামিন ও তার দুই বন্ধু স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি ইমন তার মোবাইলে ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আলামিন সেই স্কুল ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে উক্ত ভিডিও গ্রামের কয়েকজন যুবকের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে এবং লোকমুখে জানাজানি হয়ে যায়। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্কুল ছাত্রীর দাদী বাদী হয়ে পরদিন গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখ কুমারখালী
থানায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন (সংশোধন) আইন ২০০৩ এর পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর
৮(১)(২) ধারায় মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নাম্বার-৩৮, তারিখ-২২/০৯/২০২২। ঘটনাটি কুষ্টিয়ার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে, পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। পরে র্যাব-১ ও র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আলামিন হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার অপরাধের কথা স্বীকার
করেছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানি কমান্ডার। আলামিন দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে বর্তমানে বেকার অবস্থায় আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলো বলেও জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।