জে এইচ এম ইউনুস ( কক্সবাজার প্রতিনিধি):
কক্সবাজারে গভীর সমুদ্রে এক দুঃসাহসিক অভিযানের মাধ্যমে এক লক্ষ পিস ইয়াবার বিশাল চালান জব্দ ও ৬ জন মায়ানমার নাগরিকসহ মোট ৯ জন ইয়াবা কারবারিকে গ্রেফতার করেছে।
ইতিমধ্যে কক্সবাজারে নিয়মিতভাবে সর্বোচ্চ পেশাদারীত্বের সাথে অপারেশন পরিচালনা করে র্যাব-১৫ বেশকিছু বড় বড় ইয়াবা ও আইসের চালান জব্দ করাসহ মাদক পরিবহনকারী, চোরাকারবারী ও গডফাদারদের গ্রেফতার করে জেলা ও দেশবাসীর কাছে সুনাম অর্জন করেছে । জানা যায় গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল নিশ্চিত হয় যে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে এবং ইতিমধ্যে চালানটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তাই প্রতিকূল আবহাওয়ায় উত্তাল সমুদ্রের ভয়াবহতা উপেক্ষা করে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা ছদ্মবেশে গভীর সমুদ্রে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করে এবং এক পর্যায়ে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করার সময় হাতেনাতে পুরো চক্রটিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াবা কারবারিরা হলেন ১। আলী উল্লা (৫০) পিতা-মৃত জাফর আমান, ২৬ নং নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, টেকনাফ, কক্সবাজার, ২। জিয়াবুল হোসেন (২১)পিতা-ওসমান গণি, সাং-দক্ষিণ জালিয়াপাড়া, পৌরসভা, টেকনাফ, কক্সবাজার ৩। আবু তাহের (৪০) পিতা-মৃত ফজল আহম্মেদ, জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প, ব্লক-C, ক্যাম্প: C-4, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, ৪। মোঃ ইউনুস (৩৫) পিতা-মোঃ শফিক; ৫। বদি আলম (২৩)পিতা-নূরে আলম; ৬। এনামুল হাছান (২০)পিতা-আমিন হোসেন; ৭। নূর মোহাম্মদ (২২) পিতা-হাফেজ আহম্মদ; ৮। মোঃ রফিক (২১)পিতা-মাহমুদ হোসেন; ৯। সাদেক (২২) পিতা-সৈয়দ আহম্মেদ, সর্বসাং- মেহেরকুল, থানা-প্রত্তুমনি, জেলা-আইক্যাপ, মায়ানমার।
গ্রেফতারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা সকলেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পন্থা বলে মনে করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে গভীর সমুদ্রে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।
আসামীর মধ্যে ১ জন বাংলাদেশী, ২ জন বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক এবং ৬ জন কথিত মতে মায়ানমার নাগরিক।
উদ্ধারকৃত আলামত ও গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ।