সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সামনেই ঈদুল আযহা। পবিত্র কোরবানি উংসব। মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উংসবের দিন। এদিনে প্রত্যেক মুসলমানই চায় আল্লাহ নামে পশু কোরবানি দিতে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষ করে এলাকার অনেক গো-খামারি পরিকল্পিতভাবে পরিচর্যা করে, ভালো খাবার, রোগ নিরাময়ে চিকিংসা দিয়ে ষাড় গরু মোটা তাজ করে থাকে। কেউবা প্রাকৃতিক খাদ্য খাইয়ে পশুর আকৃতি বড় করে। যেন ঈদেও আগে ভালো দামে বিক্রি করতে পারে। কিন্ত বিধিবাম। করোনা আমাদের জীবন থেকে স্বাভাবিকতা কেড়ে নিয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রচন্ড ভয়ংয়কররূপে কখনো কমে আবার কখনো এর সংক্রমণ বাড়ে। এবারের পবিত্র ঈদের আগে এই করোনার পরিস্থিতিতে পড়েছে অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে গরু খামারিরা।
এরকমই অবস্থায় পড়েছে রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের জবা দই ঘরের মালিক মো. আব্দুর রশিদ। তার খামারে অনেক দিন ধরেই ঈদকে লক্ষ করে তৈরি করেছে দুটি ষাড় । প্রতিদিন দানাদার খাবার খাওয়াচ্ছে। চিকিংসা সেবা দিচ্ছে। এভাবেই গরু দুটির প্রতিটি ওজনে হবে প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মণ। আদর করে নাম দিয়েছে লাল মানিক বড়, লাল মানিক ছোট। আশা করেছিল হাটে তুলবে। দাম হাকাবে। শুধু তাই নয় মানুষ দেখবে আর বলবে কার গরু। এতো বড়। দেখতে সুন্দর। কিন্ত করোনা সেই সুযোগ কেড়ে নিয়েছে।
অগত্যা বাড়িতেই রেখে পালনে গরু দুটি। গরুর কথা ছড়িয়ে পড়েছে আশে পাশে এলাকায়। প্রতিদিন মানুষ ভীড় করছে। দেখছে। বাড়ির ওপর থেকেই কিনে নিতে চায় গরু দুটি। দাম কতো জানতেই চাইলে আব্দুর রশিদ জানায়- দাম তো বেশি হতোই। সাথে নামও হতো। কি করবো এখন করোনা। সব হাট বন্ধ। তাই বাড়িতেই রেখেছি। গরু দুটি আমার খুব আদরের। ছেড়ে দিতে মনে লাগে। তারপরও বিক্রি করতেই হবে। ৮ লাখ হলে দুটি গরুই দিয়ে দিবো। জানি ন া আব্দুর রশিদ এদামে বেচঁতে পারবে না কি-না। তবে হাট থাকলে বেশি দামেই হয়তো বিক্রি করতে পারতো। তবুও আশায় বুক বেঁধে বসে আছে আব্দুর রশিদ- দেখি খোদায় কি করে।