হিজরতের রাত : হিজরতের রাতে রাসুল (সা.) আলি (রা.)-কে তার বিছানায় অবস্থানের নির্দেশ দেন, যেন তিনি কুরাইশ গোত্রের গচ্ছিত সম্পদ ফিরিয়ে দিতে পারেন।
হিজরতের দিন : রাসুল (সা.) আবু বকর (রা.)-এর বাড়িতে যান। আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) তাদের জন্য খাবার তৈরি করে নিজের ওড়না ছিড়ে তা বেঁধে দেন।
সাওর গুহায় তিন রাত অবস্থান : ঘরের সামনের দিকের দরজা দিয়ে তাঁরা উভয়ে বের হন এবং সাওর গুহার উদ্দেশ্যে যান।
আবু বকর (রা.) প্রথমে গুহার ভেতর দেখে নেনে এরপর উভয়ে প্রবেশ করেন। এদিকে কুরাইশের লোকজন উভয়কে না পেয়ে খোঁজা শুরু করে। আর কুরাইশের সারাদিনের কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করতে রাতের বেলা আবদুল্লাহ বিন আবু বকর (রা.) গুহায় আসতেন। আর আমের বিন ফুহাইরা (রা.) সাওর গুহার কাছে ছাগল চড়াতেন।
তিনি উভয়ের জন্য দুধ দোহন করে নিয়ে আসতেন। এবং আবদুল্লাহ বিন আবু বকর (রা.)-এর পদচিহ্ন মুছে দিয়ে যেতেন।
চতুর্থ দিন : এদিন তাঁরা সাওর গুহা থেকে বের হয়ে মদিনার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। তাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন আবদুল্লাহ বিন উরাইকিত।
পঞ্চম দিন : মক্কা উত্তর দিক থেকে ৮০ কি.মি. দূরত্বে উসফান নামক স্থানের পশ্চিম দিক দিয়ে তাঁরা পথ চলেন। এরপর তাঁরা ওয়াদি আমাজ, উম্মে মাবাদ, ওয়াদি কিলয়াহর পথ দিয়ে গমন করেন। শেষোক্ত স্থানে সুরাকা বিন মালিক (রা.) সংশ্লিষ্ট ঘটনাটি ঘটে।
ষষ্ঠ দিন : এ দিন তাঁরা জহফা থেকে তিন মাইল দূরত্বের গদিরে খুম অতিক্রম করেন। এরপর ওয়াদি আল-খাজ্জার, সানিয়্যাহ মাররাহ ও ওয়াদিয়ে লাকাফ অতিক্রম করেন।
সপ্তম দিন : এ দিন তাঁরা মুদলিজা লাকাফ, মুদলিজা মিজাহ, মারজাহ মিজাহ, মারজাহ জুল আদওয়াইন, বাতান জুল কাশাদ, জাদাজিদ, আজরাদ, বাতানে রি, ওয়াদি জু সালাম, মুদলিজা তাহান, আবাইব, আল-ফাজাহ, আল-কাহাহ নামক স্থান অতিক্রম করেন।
অষ্টম দিন : এ দিন তাঁরা ওয়াদি আরাজ অতিক্রম করেন।
নবম দিন : এ দিন তাঁরা আল-জাদওয়াত, রুকুবাহ, দারাব আল-গাইর, ওয়াদি রিম অতিক্রম করেন।
দশম দিন : বির আল-মাশি, ওয়াদি আল-আকিক, আল-জুসজাসাহ অতিক্রম করেন।
১১তম দিন : এ দিন তাঁরা আজ-জিবি, আল-উসবাহ, কুবা অতিক্রম করেন। রাসুল (সা.) কুবায় চারদিন অবস্থান করেন।
মদিনায় পৌঁছার দিন : মদিনায় পৌঁছে রাসুল (সা.) বনু নাজ্জার গোত্রে অবতরণ করেন। সেখানে আবু আইউব আনসারি (রা.)-এর ঘরে থাকেন।