অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধকে জার্মানির জন্য কঠিন পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। জ্বালানি সংকট নিয়ে জনগণ যে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে তার প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, জার্মানিকে এ বিষয়ে কেউ আর ‘ব্ল্যাকমেইল’ করতে পারবে না।
নতুন বছরের বার্তায় চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, ২০২২ সালে তারা যে ধৈর্য, শক্তি আর আস্থার পরিচয় দিয়েছে ২০২৩ সালেও যেন তা অব্যাহত থাকে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে বর্ষবরণের প্রাক্কালে দেশটির টেলিভিশনগুলোতে তার সম্পূর্ণ ভাষণ প্রচার করা হবে।
তবে তার লিখিত বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে আগেই চলে আসায় তা প্রকাশ করা হলো।
২০২২ সালকে ‘কঠিন বছর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন শলৎস। তবে তার দেশ ভবিষ্যৎকে সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। আগামী বছরে জার্মানদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন শলৎস।
‘ইউক্রেনের মানুষদের প্রতি সমব্যথী’
শলৎসের বার্তার মূলবক্তব্য ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে ঘিরে। তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই যুদ্ধ নিয়ে চিন্তিত। আমাদের পূর্ণ সমবেদনা আছে ইউক্রেনের মানুষের প্রতি। বছরের শেষ দিনেও রাশিয়া সেখানকার মানুষের ওপর বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। ’ কিন্তু জার্মানির সহায়তায় ইউক্রেনীয়রা নিজেদের মাতৃভূমি রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী দিনগুলোতেও জার্মানি এই সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি।
এই যুদ্ধের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো আগের চেয়েও অনেক ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকে জার্মানিতে আশ্রয় নিয়েছে ১০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনের শরণার্থী।
শলৎস বলেছেন, ‘যুদ্ধের প্রভাব আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পড়েছে। বাজার করতে, পেট্রল ভরতে অথবা বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল দিতে গিয়ে সেটা আমরা সবাই টের পাচ্ছি। ’
কিন্তু জার্মানি রাশিয়াকে আর ব্ল্যাকমেইল করতে দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এই যুদ্ধ জার্মানদের আরো ঐক্যবদ্ধ করেছে। গ্যাস মজুদ এবং সরবরাহে তার সরকারের আরো পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান শলৎস।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জনগণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনগণের ভোগান্তি কমাতে সরকার নতুন বছরে নানা প্যাকেজের ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্র : ডয়চে ভেলে