রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ বাস টার্মিনাল ভবন ও মসজিদের পাশে অর্ধ যুগ থেকে খোলা টয়লেট, ফলে দূর্গন্ধ ও রোগ জীবানু ছড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এতে দূর্ভোগ পোহাচ্ছে টার্মিনাল এলাকার লোকজন,যানবাহন শ্রমিক ও যাত্রীরা৷ অথচ পৌরসভা টয়লেটটি প্রতিবছর. প্রায় লক্ষাধিক টাকা লিজ দেওয়াসহ পৌরসভাও বিভিন্ন সমিতির নামে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে এ টার্মিনালকে ঘিরে৷ তবুও কারো কোন উদ্যোগ নেই এ ব্যাপারে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রামগঞ্জ শহরের পাশে টার্মিনালটি থেকে প্রতিদিন শত শত বাস ঢাকা,চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে। এতে বহু যাত্রী ও শ্রমিক সমাগম ঘটে। এসব লোকদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাথরুম কার্য সমাধানের জন্য টার্মিনাল ভবনের পাশে এ টয়লেটটি ব্যবহার করতে হয়।
টয়লেটটির পাশে মসজিদ, কয়েকটি আবাসিক ভবন ও চলাচলের রাস্তা রয়েছে৷ কিন্তু বিগত ছয় বছর থেকে টয়লেটির ময়লা টাংকিটি ভেঙ্গে গিয়ে ময়লা চারদিকে ছড়াচ্ছে৷ আর এর দূর্গন্ধে মসজিদে আসা মুসল্লীরা, যাত্রী, শ্রমিক ও আসেপাশে বসবাসকারী লোকজন খুব কষ্ট পাচ্ছে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
টয়লেটটি ঘিরে যাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়কারী খোকন বলেন, আমি পৌরসভাকে প্রতিদিন ২শত ৫০টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছি। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী এখানে প্রশ্রাব- পায়খানা করতে আসা লোকদের নিকট জনপ্রতি ৫টাকা করে নিচ্ছি৷ টয়লেট সংস্কারের দায়িত্ব পৌরসভা ও টার্মিনাল কমিটির লোকজনের।
যাত্রী হাসান, শ্রমিক আবুল কালাম,রিয়াদ হোসেন, মুসুল্লীরা বলেন, টয়লেটির খুব খারাপ অবস্থা, নামাজ পড়তে আসা মুসুল্লী, যাত্রীরা ও আসপাশের লোকজন খুব কষ্ট পায়৷ অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে৷ পৌরসভা লোকজনের কাছে বার বার জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছি না। অথচয় এ টয়লেট লিজ দিয়ে প্রতিবছর লাখ লাখ আদায় করছে।
আন্তজেলা বাস মালিক সমিতির রামগঞ্জ শাখার কার্যকরী সভাপতি, টার্মিনাল জামে মসজিদের সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ত্রিশ বছর পূর্বে টার্মিনাল ভবন হওয়ার সময় এ টয়লেটি করা হয়৷ এরপর আর কখনো টয়লেটটি সংস্কার করা হয়নি৷ বিগত ছয় বছর থেকে টয়লটির টাংকি ভেঙ্গে গিয়ে ময়লা চারদিকে ছড়াচ্ছে৷ মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে৷এ ব্যাপারে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরের কাছে বার বার জানানো হয়েছে। তবুও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না৷ এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থ গ্রহনের দাবী জানাই।
রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাঃ গুনময় পোদ্দার বলেন, এসব ময়লা থেকে কলেরা, অামাশয়সহ পানিবাহিত রোগ ছড়ায়৷ এতে মানুষ দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে।
রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী জানান, এ ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি৷ বিষয়টি জেনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।