স্টাফ রিপোর্টার: বুধবার সংবাদপত্রের কার্যালয় থেকে দেশের একজন সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে)’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে স্থায়ী জামিনে থাকার পরও গ্রেফতার এবং অসুস্থ এই সাংবাদিককে জামিন প্রদান না করে কারাগারে প্রেরনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ। শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে যে কোনো অভিযোগে প্রায়শই স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রেফতার পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ মামলার কারণ ক্ষমতাসীন, জেলা প্রশাসন এবং ক্ষমতায় থাকা লোকদের সম্পর্কে সমালোচনা। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা এবং নিম্ন আদালতে সেটা কনফার্ম থাকার পরও সেই মামলায় হাজিরার দোহাই দিয়ে রুহুল আমিন গাজীর মত একজন সিনিয়র সাংবাদিককে গ্রেফতার করা কেন ? আশ্চর্যের বিষয় একজন সাংবাদিক নেতাকে বিনা নোটিশে, তাকে না জানিয়ে কী করে এভাবে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। নেতৃদ্বয় বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে সরকার তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন ও দণ্ডবিধির ১২৪-ক ধারায় মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। তাকে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যে নন এফআইআর মামলায় প্রসিকিউশন দাখিল করে, মূল মামলায় জামিনে থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার করে সরকার সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকার সুস্পষ্টভাবে লংঘন করেছে। এ ধরনের ঘটনা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধের অপচেষ্টা। তারা বলেন, দেশে স্বাধীন মুক্ত গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্গিত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান সর্বনিন্ম। বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্রহীন, বিচারহীন, সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাহীন অবস্থায় চলছে। হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকার পরও নিন্ম আদালতের আদেশে কিভাবে গ্রেফতার করা হলো বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানান।