রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
শীতকালে রুক্ষ হয়ে ওঠে প্রকৃতি, হয়তো এই অপবাদ কাটানোর জন্যই বিভিন্ন ফুলের আগমন হয়। দেশ বিদেশের শীতের ফুলগুলো আলাদা কিন্তু এখন অনেক বিদেশি ফুলও আমাদের দেশে চাষ হয়। যেমন ডালিয়ার আদি নিবাস মেক্সিকোতে হলেও এখন আমাদের দেশেও তা চাষ হয়। এই ফুলের আগমন ১৮৫৭-৬০ সালের মধ্যে। সাদা, হলুদ, লাল, নীল, বেগুনি বিভিন্ন ধরনের পাপড়ি এই ফুলে দেখা যায় । ৮ পাপড়ির কসমস ফুলটির আগমন মেক্সিকো থেকে। এটিও সাদা, বেগুনি, হলুদ ,কমলা ইত্যাদি রংয়ের হয়ে থাকে।
ইতোমধ্যে বইতে শুরু করেছে শীতের আগমনী বার্তা। রাজশাহী মহানগরীর ফুলের দোকানগুলোতে শীত মৌসুমের ফুল গুলো বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
মহানগরীর, সাহেব বাজার, সোনাদিঘি মোড়, আরডিএ মার্কেট, নিউ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা গেছে ফুলের দোকানে গাঁদা, লাল গোলাপ, জারবেরাসহ অন্যান্য ফুল সাজিয়ে রেখেছে। আর ক্রেতারা শীত মৌসুমের নতুন ফুল পেয়ে এসব ফুল ক্রয় করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থীরা এসব ফুল ক্রয় করে প্রিয় জনকে ফুল উপহার দিতে দেখা গেছে। আমাদের দেশে অতি জনপ্রিয় আরেকটি ফুল হচ্ছে গাঁদা যার রং হলুদ। আমাদের বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানে আমরা এই গাঁদা ফুল ব্যবহার করে থাকি। আমাদের চারিদিক সজ্জিত করতে গাঁদা ফুল আমাদের একমাত্র ভরসা। অন্যান্য ফুলের তুলনায় এই ফুলটি সস্তা ও বটে। এই ফুলটিও মেক্সিকান মাটির দান। ইউরোপ থেকে আগমন ক্যালেন্ডুলা ফুল। এই ফুল থেকে এখন তৈরি হয় সুগন্ধি যুক্ত সাবান। শীতের ক্যালেন্ডুলার রূপ চোখের ক্লান্তি দূর করে।আমাদের দেশে শীতের ফুল হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জারবেরা। নীল, সাদা, লাল, বেগুনি ও গোলাপি রঙের পাপড়ি। তবে আমাদের ফুলের রানী গোলাপ তার জনপ্রিয়তা রয়েছে সারা বছরই। আমরা আনন্দে থাকলেও ফুল পছন্দ করি। আবার মন খারাপ থাকলেও ফুল পছন্দ করি। আমরা আনন্দের বিকল্প হিসেবে ফুলকে বেছে নেই, ফুলের বিকল্প আর কিছু নেই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানভির ইশতিয়া বলেন, ইতোমধ্যে শীতের বার্তা আমাদের মাঝে আসতে শুরু করেছে। এই শীতের শুরুতে নানান ধরনের ফুল পাওয়া যায়। ফুল সবার পছন্দ। এই মৌসুমে গাঁদা,লাল গোলাপ ও জারবেরাসহ অন্যান্য ফুল বেশী পাওয়া যায়। এসব ফুল আমাদের খুব ভালো লাগে। আমরা বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে এসব ফুল উপহার দিয়ে থাকি।