রাউজান প্রতিনিধি:
রাউজানের আজীজ বাহিনীর প্রধান শীর্ষসন্ত্রাসী আজীজ উদ্দীন প্রকাশ ইমুকে (৪৪)রাউজান উপজেলার, হরিষখান গ্রামের মৃত বজল আহাম্মদ এর পুত্রকে নগরীর আকবরশাহ থানার একে খান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে -৭। তার বিরুদ্ধে ৫টি হত্যা মামলা সহ মোট ১৪টি মামলা রয়েছে।
এ তথ্য দেন র্যাব -৭, এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ। র্যাব -৭ থেকে জানানো হয় ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন রাউজান-রাঙ্গামাটি সড়কের চারাবটতল এলাকায় যুবলীগের কর্মী শহিদুল আলম (৩৫) কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী মুখোশ পরিধান করে অনেকটা সিনেমা স্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমে গুলি করে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে। উক্ত ঘটনায় চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় যার মামলা নং- ১৪/২৮, তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, ধারা-৩০২/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক চাঞ্চল্যে সৃষ্টি হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের পর এক নম্বর আসামী র্শীষ সন্ত্রাসী আজিজ উদ্দিন সহ উক্ত হত্যার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বিদেশে গমন করে। বিদেশ থেকেই আজিজ তার বাহিনীকে পরিচালনা করত । স্বাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পরবর্তীতে র্যাব -৭, চট্টগ্রাম ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এর লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী, আধুনিক ও তথ্য প্রযুুক্তি ব্যবহার অব্যাহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, উক্ত মামলার পলাতক এক নম্বর ও মাস্টার মাইন্ড আসামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবরশাহ থানাধীন একে খান এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ ১৭১০ ঘটিকায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাববের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে র্যাব সদস্যরা আসামী আজিজ উদ্দিন আজিজ্যা ইমুকে আটক করে। আসামীর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানায় ০৫ টি হত্যা মামলা ছাড়াও চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ সর্বমোট ১৪ টি মামলা রয়েছে।