কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবীতে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে । ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে।থানায় লিখিত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে কয়ার আবাসন প্রকল্পে (কয়া ইউনিয়ন) মোঃ মুকুল সর্দারের মেয়ে শিরিনা খাতুনের সাথে একই ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ সোনাই শেখের ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলামের সাথে ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরানা ধার্য্য করে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে দুইটি সন্তান জন্ম গ্রহন করে। ৩ বছর বয়সের একটি ছেলে ও ৩ মাস বয়সের একটি মেয়ে সন্তান। কিন্তু বিবাহের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবী করে আসছিল পাষন্ড স্বামী। পাষন্ড স্বামীর যৌতুকের চাহিদা মেটাতে এযাবৎ মালামাল ও নগদ অর্থসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করেছে নিহতের পিতা। নিহতের পিতা মুকুল সর্দার জানান আমার জামাই মনিরুল মাদকাসক্ত ও জুয়ারী। যৌতুকের দাবীতে প্রায় সময় মারধর করে আমার বাড়িতে পাঠায়ে দিত মেয়েকে। আমি গরীব মানুষ সাধ্যমত যে সময় যা পেরেছি দিয়ে স্বামীর বাড়িতে পাঠায়ে দিতাম। গতকাল ১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমাকে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানে হয়,আমার মেয়ে গলাই দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাৎক্ষনিকভাবে পৌছে দেখি আমার মৃত মেয়ে ঘরের মেঝেতে শুয়াইয়ে রেখেছে। তারা দাবী করছে গলাই দড়ি নিয়েছিল আমরা নামিয়েছি। আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয় নি। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিচারের জন্য ২ সেপ্টেম্বর বেলা ১০.৩০ মিনিটের দিকে অত্যাচারী ১) মনিরুল ইসলাম, পিতা-সোনাই শেখ,২) মোঃ সোনাই শেখ,পিতা- আব্বেছ শেখ,৩)মমেনা খাতুন,স্বামী-সোনাই শেখ,৪) মনিরা খাতুন,স্বামী-মোঃ হেলাল কে আসামী করে কুমারখালী থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেছি। এ ব্যপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান শারমিন নামের একটি মেয়ের লাশ রায়ডাঙ্গা গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছি। পোস্টমর্টেম করার জন্য কুষ্টিয়া মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।