অনলাইন ডেস্ক:
যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বা বিরোধী দল যেখানেই আওয়ামী লীগ থাকুক না কেন আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সর্বদা সারা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের জন্য কাজ করছেন। ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা অন্য যেকোনো দুর্যোগে আমরা সব সময় মানুষের পাশে থাকি এবং মানুষকে আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব।
আজ মঙ্গলবার সিলেট সার্কিট হাউসে সিলেট বিভাগের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বন্যা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বন্যা মোকাবেলায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। যেকোনো দুর্যোগে আওয়ামী লীগ অন্যদের তুলনায় দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। সর্বোপরি আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে যাবে।
তিনি আরো বলেন, এবার বন্যা দেরিতে এসেছে। বন্যা আসলে এমন দু’বার তিনবার করেই আসে। এটাই প্রকৃতির খেলা। তবে সিলেটের এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। প্রতিবার বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, খাদ্যমন্ত্রীকে আগে থেকেই বলেছিলাম এবার বন্যা আসবে। খাদ্য গুদামে পানি আসতে পারে। তাই সার এবং খাদ্য গুদাম রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী এবং আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কারণ তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে উদ্ধারে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এবং ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চলে যান, যেখানে অনেকেই পৌঁছাতে পারেননি এবং ওই এলাকার ছবি আমাকে পাঠিয়েছেন যা উদ্ধার প্রক্রিয়া সহজ করেছে। সেই ছবি আমি সেনাপ্রধান, আমাদের অফিস, বিভাগীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছি। তারা মানুষকে উদ্ধার করতে পেরেছে।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ও সিলেট সেনানিবাসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং বন্যা ও এর ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
বিভাগীয় প্রশাসন জানিয়েছে, চারটি জেলার ৩৩টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেখানে ৪৫ লাখের বেশি মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে আছে এবং ৪ দশমিক ১৪ লাখের বেশি মানুষ ১২৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
এ ছাড়া বন্যা দুর্গতদের চিকিৎসার জন্য ৩০০টিরও বেশি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে এবং ২৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ ২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং ১৩০৭ মেট্রিক টন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন