ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।।
বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিনে কেক কাটা সবকিছুতেই দেদারসে অংশ নিচ্ছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কিন্তু করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে তারা ১০ জুন অনুষ্ঠিতব্য জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা স্থগিত করেছেন!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌসের দিয়ে যুবলীগের সভা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন ১০ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভা মহামারী করোনার কারণে স্থগিত করা হয়েছে।
একটি সূত্রে জানান, তিন বছর মেয়াদের কমিটির বয়স এখন ১৮ বছর। কমিটি রাজত্বের এই রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগ।
কমিটির অর্ধেক সদস্যেরই ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে এই সময়ে। কেউ আওয়ামী লীগে, কেউ যুবলীগ ছেড়ে অন্য ইউনিটে চলে গেছেন। মারাও গেছেন কয়েকজন। বিদেশেসহ অন্য পেশায় আছেন আরো কয়েকজন। জেলার মতো উপজেলা কমিটিও মেয়াদের লাগামছাড়া। শুধু তাই নয়, সকালে এক উপজেলায় কমিটি দিয়ে রাতে তা বিলুপ্ত করার কারিশমা দেখানোসহ চমকপ্রদ আরো রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন জেলা ইউনিটে কর্তৃত্বকারী নেতারা।
১০ই জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী যুবলীগের বর্ধিত সভা মহামারী করোনার কারণে স্থগিত করার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা।
সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ ফোরাম নামে একটি সংগঠন সোমবার রাত ৯ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্যাংকের পাড় পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অবিলম্বে এই মেয়াদোত্তীর্ণ যুবলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে সাবেক ছাত্রনেতাদের কে দিয়ে নতুন জেলা কমিটি গঠন করার দাবি জানান।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক হবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইতিহাসের দীর্ঘমেয়াদি কমিটি হল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগ। যুবলীগের এই একটি কমিটি সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের চারটি কমিটি হয়েছে। ফলে দীর্ঘ ১৮ বছরের জেলা-উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিষ্ক্রিয় হয়েছে।
আগামী ১০ জুন জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভা স্থগিত ঘোষণায় নতুন নেতৃত্বে আলোকবর্তিকা জ্বলে ওঠার আগেই নিভে যায়।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল জানান, আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগ সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত আছি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দ্বায়িত্বশীল নেতাদের সাথে কথা বলে অচিরেই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে নেতৃত্বের পরিবর্তন করে ক্লিন ইমেজের নেতাদের দ্বারা কমিটি গঠন করা হবে।
সূত্রমতে, ২০০৪ সালের ২৮শে জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সম্মেলন হয়। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হন এডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন আর সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস। প্রায় এক বছর পর ২০০৫ সালের ১৮ই জুন কেন্দ্রীয় যুবলীগ তৎকালীন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম এই কমিটির অনুমোদন দেন। সেখানে সম্মেলনের তারিখ থেকে ৩ বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।