অনলাইন ডেস্ক:
ইউক্রেনে রুশ হামলাকে ‘বিশেষ অভিযান’ আখ্যায়িত করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ইউক্রেনীয়রা শুরুতেই বুঝতে পেরেছে- এটি কোনো বিশেষ অভিযান নয়; এটা যুদ্ধ। তবে ইউক্রেনে হামলাকে যুদ্ধ বলাটা রাশিয়ায় বড় ধরনের অপরাধ।
রাশিয়ায় ‘ভুয়া সংবাদ’ বিষয়ক আইনের কথা বলে বহু মানুষের ‘বিচার’ করা হয়েছে।
ইউক্রেনে আগ্রাসনের ব্যাপারে রুশ সরকারের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার জন্য বা সামরিক বাহিনীর সমালোচনা করার জন্য তাদের ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হয়েছে।
ভ্লাদিমির পুতিন তার শাসনামলে বিরোধীদের অপসারণ করতে, বাকস্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখতে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে বরাবরই খড়গহস্ত হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর তিনি মাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন।
চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে বক্তব্য দেওয়ার সময় রুশ ভিন্নমতাবলম্বী আন্দোলনকর্মী ভ্লাদিমির কারা-মুর্জা পশ্চিমা নেতাদের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, পুরো বিশ্ব এখন দেখছে- পুতিন সরকার ইউক্রেনের সাথে কী করছে।
অ্যারিজোনা হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভদের তিনি বলেছেন, প্রসূতি ওয়ার্ড, হাসপাতাল এবং স্কুলে বোমা হামলা চালানো হচ্ছে। এগুলো যুদ্ধাপরাধ।
ওই বক্তব্য দেওয়ার এক মাস পর মস্কোতে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। রুশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তোলা হয় তার বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটররা ১১ হাজারের বেশি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নথিবদ্ধ করেছেন। তার মধ্যে একজন রুশ সেনা বেসামরিক নাগরিককে হত্যার অভিযোগও রয়েছে। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে বিবিসির কাছে।
সূত্র: বিবিসি।