Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তন হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো সমর্থনের আশা আ. লীগের

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তন হলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো সমর্থনের আশা আ. লীগের

অনলাইন ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে সর্বশেষ ফল বলছে, ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন। তিনি হতে যাচ্ছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট। যদি তা-ই হয়, সে ক্ষেত্রে বর্তমান রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি যেমন আছে তাতে কি কোনো পরিবর্তন আসতে পারে? এ নিয়ে নানা প্রশ্ন আসছে এখন সব মহলের আলোচনায়। চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই গতকাল শুক্রবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সরকারের একাধিক নীতিনির্ধারকের কাছে এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তাঁরা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তন হলেও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো পরিবর্তন হবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। তবে নতুন সরকারের কাছে তাঁদের প্রত্যাশা থাকবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো সমর্থন।  

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন জয়ী হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে, তার ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। তাঁদের সঙ্গে আমাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে। এ ছাড়া অনেক বিষয়ে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এর বাইরেও রয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এসব ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে ডেমোক্র্যাটরা যেহেতু রিপাবলিকানদের চেয়ে অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কিছুটা লিবারেল, তাই অভিবাসন নীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’ 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক (যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের বড় বাজার), রাজনৈতিক ও প্রবাসী বাঙালিদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের যে গভীরতা, তা আগামী দিনে আরো সমৃদ্ধ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। কিন্তু দেশটির সরকার পরিবর্তনের ফলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন হবে না। বর্তমানে যে সম্পর্ক রয়েছে, সেটা অটুট থাকবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সে দেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে একজন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন এবং বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে যে সুন্দর সম্পর্ক রয়েছে, সেটা সেই প্রেসিডেন্ট বা তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে অক্ষুণ্ন থাকবে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়বে। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল অর্থের ব্যবসা রয়েছে। এটা আরো বাড়বে বলে আশা রাখি। এ ছাড়া ব্যবসার ক্ষেত্রে জিএসপিসহ অন্যান্য সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। আমরা আশা করব, বাংলাদেশে যেসব রোহিঙ্গা অবৈধভাবে বসবাস করছে, তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন বৃদ্ধি করবে।’ ফারুক খান আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। তাই এ দেশে তারা ভবিষ্যতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ আরো বাড়াবে, সে প্রত্যাশাও দেশটির সরকারের কাছে থাকবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য, সাবেক ছাত্র নেতা আবদুর রহমান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যক্তি বিশেষের পরিবর্তনে দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। কারণ সরকার বদল হলেও তাদের পররাষ্ট্রনীতির বড় কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বর্তমানে যেভাবে এবং যেমন আছে, তেমনি থাকবে বলে মনে করি।’

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply