Thursday , 21 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু…’
--ফাইল ছবি

‘যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু…’

অনলাইন ডেস্ক:

কবিগুরুর অমর বাণী দিয়েই আজকের লেখাটি শুরু করি : ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারেবারে/দয়াহীন সংসারে,/তারা বলে গেল ‘ক্ষমা করো সবে’ বলে গেল ভালোবাসো/অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো’…। এখনকার স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে এ ধরনের কালোত্তীর্ণ কাব্যকণিকা খুব একটা দেখা যায় না। আর পাঠ্যপুস্তকের বাইরে সাহিত্যভুবনের আস্বাদ গ্রহণের ব্যাপারটা তো কবেই ফেসবুক, ইউটিউব আর মেসেঞ্জারের কল্যাণে শিকেয় উঠেছে। কিন্তু যে আমলে পড়ুয়ারা ‘সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি’ দিয়ে… ‘বা বা ব্ল্যাক শিপ’ কিংবা ‘হাম্পটি-ডাম্পটি স্যাট অন অ্যা ওয়াল’ দিয়ে নয়—kalerkanthoশিক্ষাজীবন শুরু করে কৈশোরে-যৌবনে রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দ-জসীমউদ্দীনকে অস্থিমজ্জায় মিশিয়ে ফেলতেন, সেই আমলের পড়ুয়ারা পরিণত বয়সে এ কী আচরণ করছেন? এখন সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত দূতেরা যুগে যুগে কী বলে গেছেন তা শোনার কিংবা অনুধাবন করার ব্যাপারটাকে তাঁরা সেকেলে মনে করে রবীন্দ্রনাথকে গুডবাই এবং ‘মানুষের চেয়ে বড় কিছু নেই নহে কিছু মহীয়ান’-এর ঘোষককে জাতীয় কবির সার্টিফিকেট দিয়ে, ‘অত মানুষ মানুষ করবেন না’ বলে ‘মসজিদেরই কাছে’ কবর দিয়ে খোদা হাফেয জানিয়ে দিয়েছেন। এখন সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত দূত নয়, দিনদুপুরে কোন যমদূত চোখের পলকে কটা লাশ ফেলতে পারে, কোনো মানুষ নয়, মাস্তানরূপী অমানুষ হুকুম পেলেই প্রতিপক্ষকে শুইয়ে দিতে পারবে সেই সব তালেবরদের তত্ত্ব-তালাশ নিতেই তাঁরা বেশি আগ্রহী। কারণ তাঁরা মনে করেন এই ডিজিটাল যুগে রবীন্দ্র-নজরুল অচল দু’আনি। তার চেয়ে ল্যাং মারামারি থেকে শুরু করে ছুরি মারামারি, গলা কাটাকাটিতে যারা বিশারদ, তারাই তাদের মোক্ষলাভের জন্য দরকারি জীব। এখন তাঁরা কৈশোরে-যৌবনে পড়া ‘অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ নাশো’তে বিশ্বাসী নন, বরং ‘অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ’ ঢালো নীতির একনিষ্ঠ সেবক।

আমার কথাটা যদি বিশ্বাস না করেন তবে এই মুহূর্তে টিভি খুলুন, শুনুন আপনার-আমার নমস্য ব্যক্তিরা—যাদের কণ্ঠনিঃসৃত অনুপম বাণীর জন্য দেশের অগণিত মানুষ, বিশেষ করে তরুণরা, চাতক পাখির বারিপিপাসা নিয়ে অপেক্ষায় থাকে—কী বলছেন। তাঁরা তাঁদের নীতি-আদর্শ-সংগঠন এবং প্রতিযোগিতামূলক তৈলমর্দন ইত্যাদি নিয়ে দুটো কথা বললে দশটা নেগেটিভ কথা বলেন প্রতিপক্ষ সম্বন্ধে। আর সেসব কথা তথ্যনির্ভর বা যুক্তিগ্রাহ্য কি না সেদিকে তাঁদের খেয়াল থাকে না। এ যেন ফিলিস্তিনি লক্ষ্যবস্তুর দিকে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ—এতে নারী-শিশু-বৃদ্ধ মরল, না যোদ্ধা মরল, তাতে কিছু যায় আসে না, ফিলিস্তিনি মরলেই হলো। সম্পূর্ণ অসত্য অলীক বক্তব্য হলে কী হলো, একমাত্র উদ্দেশ্য হলো প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা, বিপক্ষকে জাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করা। যেন ‘মারি অরি পারি যে কৌশলে’ (মেঘনাদবধ কাব্য : মাইকেল মধুসূদন)। আর এই বাক্যবাণ নিঃসরণে যে যত বড় চাপাবাজ, যার চোপার জোর যত বেশি তার কদরও যেন ‘বস্’দের কাছে তত বেশি। কিন্তু একটা বিষয় বক্তা বা ‘বস্’ ভেবে দেখছেন না। এসব বক্তব্যের চমক হয়তো তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু মতলবি হাততালি এবং অসচেতন নেতাকর্মীর বাহবালাভে সমর্থ হয়; কিন্তু দিনশেষে বা ‘ইন দ্যা লং রান’, এগুলো হয়তো বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে, যখন এর ভিত্তিহীন অসত্য রূপ সাধারণ্যে প্রতিভাত হয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

আমি অবশ্য এতেও কাতর বোধ করি না। কোন বক্তব্যের কী লাভক্ষতি তা বক্তব্য প্রদানকারী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে, আমাদের মতো থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বারদের এতে কিছু যায় আসে না। আমি দুশ্চিন্তিত বিষয়টির সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও অপসংস্কৃতির বিস্তার নিয়ে। পাড়া-মহল্লা বা রাস্তাঘাটের কটাই-মজর-আম্বর-জাবিদরা (টম ডিক অ্যান্ড হ্যারির টিপিক্যাল সিলেটি সংস্করণ শুনতে বোধ করি খারাপ লাগে না) উল্টাপাল্টা কত কিছুই বলে থাকে উঠতে-বসতে, এগুলো পাবলিক খুব একটা সিরিয়াসলি নেয় না, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেয়; কিন্তু জাতীয় পর্যায়ের বীর-মহাবীরদের কথা তো আর ফেলনা না। তাঁরা যখন কিছু বলেন তখন পাবলিকের কাছে সেটা আর কথা থাকে না, হয়ে যায় ‘বাণী’। অতএব সেই বাণী প্রদানের আগে অবশ্যই যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত মনে করি। আপনি এমন একটা হাস্যকর অবাস্তব কথা বললেন যা শুনলে পুরনো আমলের পুরান ঢাকার জুম্মন মিয়া ঘোড়ার গাড়ির চালক আজ বেঁচে থাকলে হয়তো বলতেন, ‘আস্তে কন সাব, হুনলে ঘোড়ায় ভি হাসব।’ এতে আপনার প্রেস্টিজ পাংচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সংগঠনের ভাবমূর্তির ভাব হাওয়া হয়ে গিয়ে শুধু মূর্তি দাঁড়িয়ে থাকবে অশরীরী প্রেতাত্মার মতো। কাজেই কথার তীর ছোড়ার আগে একবার ভেবে দেখুন এর প্লাস-মাইনাসের কথা। আপনি হয়তো বলবেন, অত ভাবাভাবির কী আছে, আমি দেখব শুধু শত্রু মরল কি না। সে শত্রু নারী, না শিশু, না বৃদ্ধ তাতে কী, ফিলিস্তিনি হলেই হলো। আর আমার কাজ ‘অন্তর হতে বিদ্বেষবিষ’ ঢালা, যে বিষের ধাক্কায় প্রতিপক্ষ জ্বলেপুড়ে ছাই হবে। হয়তো আপনি এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েই ময়দানে নেমেছেন এবং আপনি নিজেকে ‘ব্যাটা একখান’ প্রমাণ করার জন্য, বিশেষ করে ‘বসিপ্রয়তা’ লাভের জন্য, কোমর বেঁধে লেগেছেন। আর এতে আপনার বা আপনার সংগঠনের লাভ হোক বা না হোক আপনি কিন্তু এই গাঙ্গেয় বদ্বীপের আবহমানকালের ভদ্র, সুরুচিসম্মত, সুকুমার সংস্কৃতির একটা বিরাট ক্ষতি করলেন। তা হচ্ছে মিথ্যাশ্রয়ী অপসংস্কৃতির চর্চা। এরপর বিদেশিরা বলবে এটা কার বক্তব্য? বাংলাদেশের? এটা যাচাই-বাছাই না করে চট করে মেনে নেওয়া যাবে না। বাঙালিরা অম্লানবদনে একটা কথার পিঠে দশটা অলীক অকথা-কুকথা বলতে ওস্তাদ। …ভেবে দেখুন, দেশের মান-মর্যাদা কোথায় কোন তলানিতে গিয়ে ঠেকতে পারে। অথচ এ দেশের খেটে খাওয়া নারী-পুরুষ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে দেশটিকে দ্রুত কী উচ্চতায়ই না পৌঁছে দিচ্ছে তাদের অক্লান্ত শ্রম ও বিধিদত্ত মেধা দিয়ে। আর আপনি, আমি—যারা এদের সব অর্জনের মালাই-মাখন দিবারাত্রি সেবা করছি একরকম ওদের ঠকিয়ে, বঞ্চিত করে—আমরা ব্যস্ত ভাষা শিল্পের বাই প্রডাক্ট হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণা ইত্যাদি নিয়ে।

২.

আমরা যারা পাকিস্তানি আমল দেখেছি, দেখেছি ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’, তাদের একটি পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে, আমি মনে করি, বর্তমান প্রজন্মকে বলে যাওয়া আমরা স্বাধীনতার আগে কী ছিলাম আর এখন কী হয়েছি। সংক্ষেপে যদি বলি, আমরা ছিলাম বঞ্চিত-নির্যাতিত-হতদরিদ্র একটি জাতি, যে জাতি অত্যাচার-অবিচার সইতে সইতে একদিন রুখে দাঁড়িয়েছিল, একটি চাপিয়ে দেওয়া অসমযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। কিন্তু তারপর? তারপর যে স্বর্ণডিম্ব প্রসবিনী হংসীটিকে আমাদের উচিত ছিল আদরযত্নে পেলে-পুষে রাখা, তাকেই কিনা আমরা কেটেকুটে তার পেট থেকে একবারেই পেতে চাইলাম সব সোনার ডিম। আমরা ভিয়েতনামিদের মতো সাম্য-মৈত্রীর শৃঙ্খলাপরায়ণ ধৈর্যশীল পরিশ্রমী বড় জাতি হতে চাইলাম না, হতে চাইলাম অর্থগৃধ্নু কপটচারী প্রবঞ্চক কিছু মানুষের হাতের ক্রীড়নক। মনোযোগী হয়ে পড়লাম এদের উচ্ছিষ্টভক্ষণে ও উঞ্ছবৃত্তিতে। আর তারাও সহজ-সরল মানুষগুলোর মাথায় কখনো কাঁঠাল ভেঙে খেয়ে, কখনো তাদের চাঁদিতে নুন রেখে বদরী ফল ভক্ষণে সুখে কালাতিপাত করতে লাগল। ফল দাঁড়াল এই, কিছু সংখ্যালঘিষ্ঠ কালো টাকার ধলো টাকার মালিক দ্রুতই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ-আমগাছ-বটগাছ হয়ে গেল, আর যাদের কাঁধে পা রেখে তারা নিরন্তর আকাশ থেকে তারাফুল পেড়ে পেড়ে জেবে পোরে, সেই সব বঞ্চিত হতদরিদ্র মানুষ, তাদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে এখনো পর্যুদস্ত। অথচ পরাধীনতামুক্ত, ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ অর্জিত, স্বাধীন-সার্বভৌম দেশটিতে তো এমনটি হওয়ার কথা ছিল না। কোথায় পাকিস্তানি আমলের দীর্ঘ দুই যুগের বঞ্চনা-লাঞ্ছনার অবসান হয়ে রচিত হবে সাম্য-মৈত্রীর এক যুগান্তকারী ইতিহাস, তা না নিচেরতলার মানুষদের আমরা সঁপে দিলাম তাদের ভাগ্যের ওপর। সমাজের উপরতলায় উন্নয়ন হলে তার চোয়ানি পেয়ে (উন্নয়ন অর্থনীতিতে যাকে বলা হয় ট্রিকল ডাউন ইফেক্ট) নিচেরতলার মানুষেরা উপকৃত হবে—এই ধারণা (এযাম্পশন) থেকে মূলত সব অথনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হতে বেশিদিন লাগেনি। সুখের বিষয়, দারিদ্র্যসীমার নিচের মানুষকে উন্নয়নের পাদপ্রদীপের সামনে নিয়ে এসে তাদের অবস্থার পরিবর্তনের জন্য বেশ কিছু কর্মকাণ্ড শুরু হয় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে। ফলে স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পর সমাজের নিচতলার মানুষদের চেহারা-ছবিতে খুব একটা চেকনাই না এলেও কিছুটা খোলতাই অবশ্যই দৃশ্যমান। রাজনীতিতে শুধু পরস্পর কাদা ছোড়াছুড়ি না করে আর কেবল মসনদে আরোহণের জন্য কিংবা মসনদ আঁকড়ে থাকার উদ্দেশ্যে সবটুকু শক্তি নিয়োজিত না করে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী যে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ তাদের ভাগ্যোন্নয়নের ব্যাপারে কোনো দল বা গোষ্ঠী আরও মনোযোগী হলে মসনদ নিজেই, আমি মনে করি, কাছে টেনে নেবে সেই দল বা গোষ্ঠীকে।

৩.

তবে সব কিছুর আগে চাই জাতীয় ঐক্য। একটি ঐক্যবদ্ধ আবিভাজিত জাতি যে কী অসাধ্য সাধন করতে পারে তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আমাদের গৌরবের মুক্তিযুদ্ধ। এটা শুরু থেকেই হৃদয়ঙ্গম করতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ফলে নানা মত নানা পথের মানুষকে তিনি শুধু সম্পৃক্তই করেননি স্বাধীনতাসংগ্রামে, তাঁর আদর্শে, তাঁর বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকলে ঝাঁপিয়েও পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। আজ যখন আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কথা বলে বলে গলা ফাটাই, তখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে সেই ঐক্য, সেই সম্প্রীতি, সেই পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার কি আছে দেশে। নিশ্চয়ই আমাদের রাজনীতিকরা রাজনীতি করেন মানুষকে সেবাদানের জন্যে, তার কল্যাণের জন্যে। কিন্তু সেই সেবাদান কি এই করোনাকালে একজন ডাক্তার, নার্স কিংবা একজন স্বেচ্ছাসেবকের নিঃস্বার্থ ও বাছবিচারহীন সেবার মতো? ‘মানুষ মানুষের জন্য’ এই মূলমন্ত্রে দীক্ষিত একজন চিকিৎসাকর্মী গোটা সমাজের সামনে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মৃত্যুকেও আলিঙ্গন করতে পিছপা হচ্ছেন না, আজ তা থেকে শুধু রাজনীতিবিদরা নন, সমাজের সকল মানুষকে শিক্ষা নিতে হবে, ভালোবাসতে হবে দেশের উচ্চ-নীচ, ধনী-গরিব সকল মানুষকে। সেখানে বিদ্বেষের এক ফোঁটা গোচনা এক পাতিল গোদুগ্ধকে বিষাক্ত করতে যথেষ্ট। তাই বিনীত অনুরোধ : হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণার রাজনীতি আর নয়, বন্ধ করুন গালাগালি আর কাদা ছোড়াছুড়ির বক্তৃতা-বিবৃতি। অনেক হয়েছে, এবার আসুন, আমরা প্রমাণ দিই আমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসতে পারি, সম্মান জানাতে পারি, আমরা ধারক ও বাহক হতে পারি একটি কলুষমুক্ত রাজনীতির। আসুন, রাজনৈতিক অঙ্গনে হিংসা-বিদ্বেষ-ঘৃণাকে আমরা ‘না’ বলি। তা না হলে কবিগুরুর মতো আজকের বাংলাদেশের মানুষ ফরিয়াদ জানাবে বিধাতার কাছে : যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,/তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?…আজ থেকে ৯০ বছর আগে ১৩৩৮ সালে তাঁর অমর সৃষ্টি ‘প্রশ্ন’ কবিতায় এই ফরিয়াদ জানিয়েছিলেন কবিগুরু, সেই ফরিয়াদ এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক ১৬-১৭ কোটি মানুষের কণ্ঠে।

লেখক : সাবেক সচিব, কবি
mkarim06@yahoo.com

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply