দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কিছুর করার নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। আজ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের চতুর্থ দিনে নির্বাচন ভবনে তিনি আরো বলেন, সময়মত হাজির হয়ে যদি তারা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারেন, তারা হাইকোর্টে যাবেন। হাইকোর্ট যদি নির্দেশনা দিলে রিটার্নিং অফিসার মনোনয়নপত্র গ্রহণ করবেন।
হাইকোর্ট থেকে যদি তারা প্রতিকার না পান সে ক্ষেত্রে ইসির কিছু করণীয় নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, আজকে আপিলের চতুর্থ দিন । আগামীকাল আপিল শেষ হয়ে যাবে। যারা আপিল করেছেন তারা ন্যায়বিচার তো অবশ্যই পাবেন, শতভাগ।
এখানে শঙ্কা কেন? শতভাগ ন্যায়বিচার পাবেন আপিলে।
ছোট-খাটো ভুল ত্রুটি সমাধান করে প্রার্থীতা ফেরত পাওয়ার আবেদন করলে কমিশন বিবেচনা করবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা কমিশন বিবেচনা করবে, অ্যাডভান্স তো বলতে পারি না। কমিশন অবশ্যই ন্যায়বিচার করে তাদের আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
মনোনয়নপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কিছু আপিল হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে যদি প্রমাণ পান বাতিল করবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই।
আইনে আছে দেখেন এবার আরপিও সংশোধন হয়েছে। আগে ছিল রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশনের বিরুদ্ধে আপিল। আরপিওতে আছে, শুধু রিটার্নিং অফিসারের রিজেকশন না, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। সেটা একসেপ্টেন্সের বিরুদ্ধেও আপিল হবে, রিজেকশনের বিরুদ্ধে আপিল হবে। যেহেতু আইনে আছে, কমিশন যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে মনোনয়ন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়া কুমিল্লা-৩ আসনের জাকারিয়া মাসুদ নামের একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে আপিলের জন্য ইসিতে ঘুরতে দেখা যায়। অতিরিক্ত সচিবের বক্তব্যের পর তিনি বলেন, আমি ৩০ নভেম্বর বিকাল ৩টায় সব কাগজপত্র দিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে মনোনয়নের কাগজ পাঠিয়েছি, কিন্তু তারা রিসিভ করেননি। সাড়ে ৩টায় নিজে গেছি, অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু ফরম তারা জমা নেননি।
তিনি বলেন, ইসিতে এসে অভিযোগ জমা দিয়েছি। রিসিভ কপি নিয়ে হাইকোর্টে উঠেছি, বৃহস্পতিবার শুনানি হচ্ছিল, সেই মুহূর্তে অ্যাটর্নি ফোন দিয়ে জানালেন আমার রায় ইসি থেকে হবে। আমি কাল থেকে ইসিতে ঘোরাঘুরি করছি। কোনো রেসপন্স পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমি ২০ বার হাইকোর্টে গেছি, ইসিতে ৩০ বার এসেছি। ঘুরতে ঘুরতে আমার জুতা শেষ। আমি এখন কি করব। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আমি সময় মতো উপস্থিত ছিলাম, উনারা নিতে পারেননি, এটা ইসির ব্যর্থতা।