স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের মণিরামপুরে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জের হিসেবে ছোট ভাইদের হাতে খুন হয়েছে বড় ভাই লাউড়ী কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আবদুস সাত্তার গোলদার(৬৮)। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহতের ভাইপো পারভেজকে আটক করেছে। নিহত সাত্তার গোলদার উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম গোলাদারের মেঝ ছেলে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রাতেই পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে।নিহতের ভাই মাদ্রাসার প্রভাষক জয়নাল আবেদীন জানান, পৈত্রিক জমি ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে গোবিন্দপুর গ্রামের পৈত্রিক বাড়িতে ভাই-বোনদের উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়। এ সময় ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ভাইদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সেজভাই আবদুল হামিদ, ছোটভাই স্কুল শিক্ষক রোকনুজ্জামান মিলে মেঝভাই লাউড়ী কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক আবদুস সাত্তারকে কিলঘুষি মারে। অভিযোগ রয়েছে এ সময় তাদের সাথে যোগ দিয়ে আবদুল হামিদের ছেলে পারভেজ, ইসমাইল এবং সোয়েবও আবদুস সাত্তারকে মারতে থাকে। এ সময় অন্য ভাইসহ উপস্থিতিরা ঠেকাতে আসলে তাদের সাথেও ওদের হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে মেঝভাই আবদুস সাত্তার অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধারের পর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের ডা: জুয়েল তাকে মৃত ঘোষনা করেন। হাসপাতালে পিতার লাশ সামনে নিয়ে নিহতের একমাত্র মেয়ে আসমা আকতার সুমি প্রলাপ করছিলেন আর বলছিলেন সবার সামনে খুনিরা তার পিতাকে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ সময় তিনি পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি করেন । অবশ্য হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গতকাল রাতেই আবদুল হামিদের ছেলে পারভেজকে(নিহতের ভাইপো) সামান্য আহত অবস্থায় আটকের পর উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সন্ধ্যারপর সহকারি পুলিশ সুপার (মনিরামপুর-সার্কেল) সোয়েব আহমেদ খান, ওসি(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, ওসি(তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ রিপোর্ট লেখার সময় ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।