খলিনা অফিসঃ যশোরের কেশবপুরে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত এক মাসে ৫৪টি সিলিং ফ্যানসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর মোঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাঁজিয়া ইউনিয়নের মাদারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৭টি সিলিং ফ্যানসহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে একদল চোর বিদ্যালয় গেটের গ্রিল ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অফিস ও শ্রেণিকক্ষ থেকে ৭ টি ঝুলন্ত ফ্যান, ৮টি ওয়াল ফিটিং পর্দা, ১ টি পানি পাম্প- মটর, ২ টা সৌর ব্যাটারি, স্টিলের র্যাকসহ বিভিন্ন লোহার পাত চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বুধবার কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিনা রাণী বিশ্বাস।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ও কেশবপুরের পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত নিজাম উদ্দীন-এর ছেলে বর্তমান বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, চুরির ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে নিয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেছি। থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, তিনি আরও বলেন বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী না থাকায় চুরির ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, এছাড়াও ভবনটি জরাজীর্ণ। আমি উর্ধতন কর্মকর্তা ও কতৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তাঁরা যেন বিষয়টি নজরে আনেন এবং সঠিক তদন্ত করেন।গত শনিবার রাতে আগরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০টি সিলিং ফ্যান, ২টি দেয়ালঘড়ি এবং ২ হাজার ৫০০ টাকা চুরি হয়। এর আগে গত ২১ আগষ্ট সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০টি সিলিং ফ্যান, সোলার ব্যাটারি, পানির ট্যাপ, বৈদ্যুতিক বাল্ব ও টাকা এবং বেলকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭টি সিলিং ফ্যান চুরি হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী না থাকায় চুরির ঘটনা ঘটেছে।আগরহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সন্ন্যাসগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ চন্দ্র জানান, চুরির ঘটনায় কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দীন বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।