নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর ২০২৩) জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলমের নেতৃত্বে শোক পদযাত্রা, নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, কালো ব্যাচ ধারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল বাকীর সভাপতিতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক ও নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. বিপ্লব মল্লিক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এস. এম মাহবুবুর রহমান, রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাধারণ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। এসময় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম। পরে নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স এসোসিয়েশন ও নীল দলের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ দিদার-উল-আলম বলেন, আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। সেই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের এবং একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর নিহত সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ১৪ ডিসেম্বরের সেই স্মৃতি মনে পড়লে আজও অশ্রুসিক্ত হই। এদেশটা এমনি এমনি হয়ে যায়নি। অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই স্বাধীনতা।
তিনি আরও বলেন স্বাধীনতার মাত্র দুই দিন আগে হানাদারদের দোসররা চেয়েছিল জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে এদেশকে মেধাশূন্য করতে। সেদিন জাতির সূর্য সন্তানরা বাঙালি চেতনাবোধ আর বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ থেকে এতটুকু বিচ্যুত হননি বরং ঘাতকদের হাতে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ক্রীড়াবিদ, চিকিৎসক কেউ রেহাই পায়নি তাদের হাত থেকে। আজকের এই দিনে আমি শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল বাকী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত হতে হবে। সামনের দিনগুলোতেও যেন একইভাবে জাতির পিতার আদর্শকে আমরা সমুজ্জল রাখতে পারি সে লক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোঃ বাহাদুর বলেন, ‘শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের। ঘাতকরা চেয়েছিলো এদেশকে মেধাশূন্য করে অকার্যকর একটি রাষ্ট্রে পরিণত করতে। সেই স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানি দোসররা আজও একইভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে দেশকে পিছিয়ে দিতে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সকল সৈনিকদের প্রতি আহ্বান থাকবে জাতির পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে সকল বাধা অতিক্রম করতে হবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’ এর আগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহর রাত বারোটা এক মিনিটে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং নিষ্প্রদীপ মহড়া ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।