মোহনগঞ্জ ( নেত্রকোনা) সংবাদদাতা:
গতকাল রবিবার সাড়ে বারটায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালের ৩ য় তলায় বিভিন্ন শাখায় গিয়ে জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা নেই। এই সুযোগে আর এম ও ছাড়া সবাই ১ টার পর আউটডোর ত্যাগ করে প্রাইভেট রোগী দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবহিত করলে ২ টায় ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামসুল আলম এম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে এসে পৌঁছেন।মোহনগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জান্নাতুন নেছা( চাঁদনী) একটি মারামারি রোগীর বির্তরকিত সার্টিফিকেট থানায় পাঠানোর পর অত্র্র শহরের সর্বত্রই আলোচিত হলে গতকাল সরেজমিনে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে যাওয়া হয়। ৩য় তলায় প্রশাসনিক কক্ষ থেকে জানতে পারি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা তিনি শনিবার নেত্রকোনা সিভিল সার্জন অফিসে মিটিং করে বিকালেই ময়মনসিংহ বাসায় চলে যান। সিভিল সার্জন মোঃ সেলিম মিঞা এর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় তিনি ছুটিতে আছেন কি? সিভিল সার্জন বলেন,মিটিংয়ে আছি পরে জানাচ্ছি। একটার পর আর এম ও এবং জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার ছাড়া সকল ডাক্তার আউটডোর ত্যাগ করে প্রাইভেট রোগী দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সব ক্ক্ষ থালা মারা থাকায় রোগীররা পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে অপেক্ষা করছিল । তাদের সাথে কথা হলে দুর্ভোগের বর্ণনা দেন। সাংবাদিক জুয়েল এক ডাক্তারকে রিং দিলে তিনি এসে বলেন,রোগী আমার মামা। কক্ষে প্রবেশ না করেই প্রাইভেট রোগী দেখতে আবার চলে যান। ১০ নং কক্ষে গিয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজমাকে পাওয়া যায়। তিনি বলেন চিত্রা ম্যাডাম ১ টায় চলে গেছেন। এই চিত্র আবার সিভিল সার্জনকে অবহিত করলে তিনি বলেন,আউটডোর ত্যাগ করার বিষয় টি আমি দেখছি। তিনি আরো বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ প ঃ কর্মকর্তা তিনি হাসপাতালেই আছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করি বলি তিনি গতকাল বিকাল থেকেই ময়মনসিংহে আছেন। আপনার মোবাইল পেয়ে মিথ্যা কথা বলে তড়িঘড়ি করে আসছেন। সাংবাদিকরা হাসপাতাল ত্যাগ করে বসুন্ধরা মোড়ে অবস্থান নিলে ২ টায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালের এম্বুলেন্সের সামনের সিটে বসে আসছেন দেখতে পেলাম। কিছুক্ষণ পর ড্রাইবার সাহাব উদ্দীন কে আসার সময় এম্বুলেন্সে সামনের সিটে কে বসা ছিল জানতে চাইলে বলেন, ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামসুল আলম স্যারকে আসার সময় ময়মনসিংহ থেকে নিয়ে এসেছি। বিকালে ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডাঃ শাহ আলম মহোদয়কে বিনা ছুটিতে ময়মনসিংহ অবস্থানের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি বলেন ময়মনসিংহ বিভাগেই তো আছেন অসুবিধা কি? উত্তরে বললাম করোনা সময়ে বড় কর্তা না থাকায় মোহনগঞ্জ হাসপাতালের ডাক্তাররা ১ টার পরপরই আউটডোর ত্যাগ করে প্রাইভেট রোগী দেখায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাছাড়া ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামসুল আলমের সাথে ডাঃ জান্নাতুন নেছা ( চাঁদনী ) রোগীর বির্তরকিত সার্টিফিকেট বিষয়ে কথা বলা খুবই প্রয়োজন। যা মোহনগঞ্জের সর্বত্রই আলোচিত হচ্ছে, আসামী অভিযোগ সহ সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। পরবর্তীতে পরিচালক ডাঃ শাহ আলম বলেন, মোহনগঞ্জের এসব বিষয় তলিয়ে দেখা হবে। মোহনগঞ্জ হাসপাতালের হেডক্লার্ক মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, স্যার ২ টায় এম্বুলেন্সে এসেছেন শুনেছি। অফিসে না আসায় দেখা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডাক্তার বলেন ২ টায় এম্বুলেন্সে করে এসেছেন,তবে দেখা হয়নি।