ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দাদনের ৪ হাজার টাকার জন্য রাত ১০
টায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে ও দলবদ্ধ হয়ে বাড়িঘরে প্রবেশ করে মারধর, ভাঙচুর, লুটপাট, প্রতিবন্ধী ও শিশুসহ পিটিয়ে ৭ জনকে গুরুতর জখম করেছে দুবৃত্তরা। আহতদের মধ্যে প্রতিবন্ধী ইউসুফ আলী (৫০) কে মূমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের মধ্যে সুলেখা (৩৫), সবুজ (৩০), কদ্দুছ (৫০), হযরত (৩৫), ইসমাইল (২০), মিম (১৪) কে মুক্তাগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের নটাকুড়ি গ্রামের রাজ
মামুদের পুত্র প্রতিবন্ধী ইউসুফ আলী তার বড় ভাই খালেকের ছেলে জহুর আলীর নিকট থেকে ৪ হাজার টাকা দাদন করে নেয়। প্রতিবন্ধী ইউসুফ টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় গত শনিবার সকালে জোর পূর্বক তার বাড়ি থেকে গরু নিতে চাইলে বাড়ির লোকজন বাঁধা দেয়। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে শনিবার রাতেই শালিস হওয়ার কথা ছিল। সে মোতাবেক কয়েকজন মাতাব্বর উপস্থিত হয়। কিন্তু রাত হওয়ায় শালিস হয়নি। কিন্তু জহুরের লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাতেই শালিস করার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বাড়ির লোকজন রাতে শালিস করতে অনিহা প্রকাশ করায় বাড়ির লোকজনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি-ঘরে ভাংচুর, লুটপাটের তান্ডব চালায়। এ সময় বাড়ির লোকজন বাঁধা দেয়। এ সময় খালেকের নেতৃত্বে তার ২ পুত্র জহুর ও ইউনুছ, হাফিজুলের পুত্র মালেক ও ইউসুফের পুত্র আলমসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন হামলা চালিয়ে প্র্রতিবন্ধী ইউসুফ আলীর ২ হাত ভেঙে ফেলে এবং বাড়ির মেয়েছেলে শিশুসহ পিটিয়ে ৭ জনকে গুরুত্বর জখম করে। ঘরের আলমারি, মিডসেফ, ওয়ার্ড্রপসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করে এবং স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা পয়সা লুট করে নেয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান।
রাতেই খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। রিপোর্র্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি
চলছে বলে জানা গেছে।