হোছাইন মুহাম্মদ তারেক , ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। ক্ষেত পরিচর্যায় মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে ধান গাছের পরিচর্যায় যেন দম ফেলার সময় নেই কৃষকের।
কৃষি নির্ভর এ অঞ্চলের প্রায় ৮০ ভাগ মানুষের ফসল উৎপাদন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটে। রোপা-আমন কর্তন শেষে বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন কৃষক ও শ্রমিকরা। বাড়ির আশপাশে বিস্তীর্ণ বোরো ফসলের মাঠ, সবুজে সমারোহ। কেউ ধান গাছের আগাছা পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সবুজ পাতায় বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে ২০ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হাজার ২শ ৮০ অধিক জমিতে। এর মধ্যে বেশী রোপণ করা হয়েছে হাইব্রিড, ব্রি ধান ৮৮, ব্রি ধান ৮৯ ।
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের হারুয়া গ্রামের কৃষক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ক্ষেতে ফসলের অবস্থা এ বছর খুবই ভালো। ঝড়-বৃষ্টি আর শিলায় যদি নষ্ট না করে, তাহলে এবার ফলন খুবই ভালো হবে। এবার শীত কম থাকায় বীজতলায় ধানের চারাও খুবই ভালো ছিল। জমিতে লাগানোর পর খুব দ্রুতই কুশি গজিয়েছে।
উক্ত ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আগাছা ধান গাছের পুষ্টি গ্রহণ করে গাছকে দুর্বল করে ফেলে এবং রোগ ও পোকার আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। এতে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পায়। আগাছা জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে হাত দিয়ে টেনে অথবা নিড়ানি দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার জানান, উপজেলায় এবার কৃষকরা নির্বিঘ্নে বোরো আবাদ করতে পেরেছেন। চাষিরা এখন অনেক সচেতন। তারা আবাদের ক্ষেত্রে এখন সর্বোত্তম প্রযুক্তি ব্যবহার করতে তৎপর। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে এবার লক্ষ্যমাত্রার অধিক ধান উৎপাদন হবে।