অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রীর সাথে মালিকপক্ষের বৈঠকের পর ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণের সিদ্ধান্তের পর মৌলভীবাজার জেলার অধিকাংশই বাগানের চা শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেক বাগানের শ্রমিকরা কাজে যাননি। আজ রবিবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউড়া, ভুরভুরিয়া, খাইছড়া চা বাগান ঘুরে দেখা যায় শ্রমিকরা কাজ করছেন।
চা শ্রমিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী অনুমতি দিয়েছেন, আমরা কাজে যোগ দিয়েছি।
তিনি ১৭০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করায় কাজে যোগ দিয়েছি।
ভাড়াউড়া চা-বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি নুর মোহাম্মদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী মজুরি নির্ধারণ করায় চা শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাগানে পাঠিয়েছি। তারা বাগানে কাজ করছেন। তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘শ্রমিক বাঁচাও, মালিক বাঁচাও এবং বাগান বাঁচাও’ সর্বদিক বিচার বিশ্লেষণ করে যে মজুরি ১৭০ নির্ধারণ করেছেন সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাড়াউড়া চা বাগানের একজন শ্রমিক বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী হাজিরা ১৭০ টাকা করেছে। এতদিন ঘরে বসে ছিলাম। এক বেলা খাইছি, আরেক বেলা খাইতে পারছি না। একই কথা অনেকেই বলেছেন।
দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছেন তারা। এতো দিন ১২০ টাকা মজুরিতে কাজ করেছিলেন তারা। আজ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, মালিকপক্ষের সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। তিনি চা শ্রমিকদের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আমরা ১৭০ টাকা মেনে নিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যেক বাগানের শ্রমিকদের নিজ নিজ বাগানে কাজে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। সবাই কাজে যাচ্ছেন। আজ রবিবার বাগানগুলো সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। ফলে কিছু বাগানের শ্রমিকেরা কাজে নাও যেতে পারেন। আগামীকাল থেকে হানড্রেড পার্সেন্ট শ্রমিকরা কাজে যাবেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন