মৌলভীবাজার প্রতিনিধি::মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলা পরিষদে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হামলা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খাঁন এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারের প্রতিবাদে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আজ ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি দুপুরে তার নিযুক্ত আইনজীবি জাহেদুল হক কচি। লিখিত বক্তব্য তিনি জানান- গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সরকারি দপ্তরে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনাকালীন আকষ্মিকভাবে আক্রমন করা হয়। এবং বিভিন্ন দরজা,জানালা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়। এছাড়া কতিপয় দুষ্কৃতিকারীগণ উপজেলা কমপ্লেক্স এর ভিতর বিভিন্ন প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষন করে জনমনে আতঙ্খ সৃষ্টি করে। এ সময় তাদের হামলা ও গুলিতে প্রায় ৫০জন আহত হন। এ ঘটনায় রাজনগর থানায় (মামলা নং-০৪ তারিখ: ১৩/০২/২০২১খ্রি. ৮নং মনসুরনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিলন বখত, ৭নং কামারচাক ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক সেলিমসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন এবং উপজেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাপ্তরিক (স্বারকর নং- ১২(৭), তারিখ: ১১/০২/২০২১খ্রি. আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের পত্র প্রেরণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড্ডীয়মান অবস্থায় সরকারী দপ্তরে সন্ত্রাসী আক্রমন ও হামলা রাষ্ট্রদ্রোহীতার সামিল বলে তিনি দাবী করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো জানান- ৬নং টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খাঁন ও কামারচাঁক ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী শিল্পপতি জিল্লুর নিয়ে কুটুক্তিমূলক মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই ও সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক ভূয়া সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান টিপু খাঁন ও কামারচাঁক ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী শিল্পপতি জিল্লুর রহমানকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে ১৯৮২ ইং সালে ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করি। (আমার বড় চাচা) মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ হতে তাঁকে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যে গত ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ জামাত বিএনপি’র মদদপুষ্ট প্রার্থী হয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করি, যা সম্পূর্নরুপে মিথ্যা ও বানোয়াট। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে রাজনগরবাসীর প্রাণের দাবীতে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি এবং আমার রাজনগরবাসীর সুচিন্তিত মতামত ও ভোট প্রদানের মাধ্যমে আমি নিরঙ্খুশ বিজয় অর্জন করি। রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি থাকা অবস্থায় আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস মার্কায় ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করলে রাজনগরের সাধারন জনগণ থাকে প্রত্যাখ্যান করেন। ৭নং কামারচাঁক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম ১৯৯৯ সালে উপজেলা ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক পদে থেকে জামাত শিবির সংগঠনের উন্নয়নে বিভিন্ন সক্রীয় ভূমিকা পালন করেছিলেন । বর্তমানে তাঁর ভাই মিশু জামাত শিবিরের সাথী ও রোকন পদে থেকে জামাত রাজনীতিকে সক্রীয় করণে অগ্রনী ভূমিকা পালন করে আসছেন। গত ১১/০২/২০২১খ্রি. তারিখে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার পরবর্তী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ক্লিপ ও ছবিতে যুবলীগের হাইব্রীড নেতা নজমুল হক সেলিমসহ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মঈনুল ইসলাম খাঁননকে প্রকাশ্য দেখা যাচ্ছে। গত ১১/০২/২০২১থ্রি. তারিখে দলের কর্মীদের উপর হামলা করেছি যা সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা ও বানোয়াট। রাজনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক কর্তৃক প্রদত্ত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয় যে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি জিল্লুর রহমান এর পিতা একজন রাজাকার এবং রাজাকারপুত্র । জিল্লুর রহমান ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ১৯৯৯-২০০১ সাল পর্যন্ত ধানমন্ডি থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠনের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। মৌলভীবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থায় শেখ রাসেল নামে একটি ইনডোর ষ্টেডিয়াম তৈরী করে দিয়েছেন। তার পিতার নামে মিথ্যা গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে রাজাকার আখ্যায়িত করছেন। গত ১২/০১/২০১৭ইং তারিখে রাজনগর উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভার কার্যবিবরণীতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলে পরবর্তীতে অফিসার ইনচার্জ এ বিষয়ে কোন সত্যতা না পাওয়ায় কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারেন নি। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার রাজনগর উপজেলায় যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে আপনাদের মাধ্যমে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এছাড়া হেন অনাকাঙ্খিত ঘটনায় আমাকে মিথ্যা ১নং আসামী করে রাজনগর থানায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছে ঘটনা অনুসন্ধানপূর্বক প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। রাজনগর উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায় গঠিত সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কিছু অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীর ছবিতে ফটো এডিটের মাধ্যমে কাটপিচ করে আমার ছবি সংযোজন করে । আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছি যে হেন গুজব সৃষ্টিকারী ও অস্ত্রধারীকে খুঁজে বেড় করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য।