মোঃ আজিজুল ইসলাম (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি)::প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা মৌলভীবাজারে লকডাউনের খবরে বাজারে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের পাশাপাশি কেউ কেউ একসঙ্গে বাড়তি পরিমাণ পণ্য কিনে ফিরছেন ঘরে। মানুষের ভিড়ে রাস্তাঘাট, দোকানপাটে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি,যেখানে সেখানে পার্কিংয়ে চলাচলে সৃষ্টি করেছে বাঁধা।রোববার (৪ এপ্রিল) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আগামীকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। এইদিন দুপুর গড়াতেই শহরের অন্যতম বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড় বাড়তে থাকে। বেশির ভাগ মানুষ সংসারের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য- চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ ও আলু কিনছিলেন। মাস্ক ছাড়াই অনেকে কেনাকাটা করছেন। মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বাহনে বাজারে আসছেন। প্রাইভেটকার বা সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে অনেকেই কেনাকাটা করছিলেন। কেউ কেউ গাড়ি ভর্তি রোজার বাজার একসঙ্গে সেড়ে নিচ্ছেন। আবার লকডাউনের এক সপ্তাহের বাজারও করছেন অনেকে। ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল থেকেই মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়ের জন্য আসছেন। কেউ একমাসের বাজার একসাথেই করছেন। যেহেতু আমরা ব্যবসা করতে বসেছি তাই ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পন্য বিক্রয় করছি। সচরাচর এরকম হয়না,ক্রেতা বেশি হওয়ায় পন্য সরবরাহ করতে আমরাও পড়েছি দ্বিধাদ্বন্দ্বে। তবে ভিড় না বাড়িয়ে পন্য বিক্রয়ের চেষ্টা করছি।ক্রেতা মোঃ আব্দুল মান্নান জানান, লকডাউনে পন্যের দাম বাড়তে পারে এই আশঙ্কায় বাজার সেরে নিচ্ছি। পরিবার ছাড়াও প্রতিবেশীর বাজারও একই দিনে করছি। দুপুরে জিনিসপত্রের তালিকা দিয়েছি দুই ঘন্টা হয়ে গেছে অপেক্ষা করছি অন্যদের জিনিসপত্র দিয়ে আমাকে ডাকবে। এদিকে আরেক ক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, প্রথমে এক দোকানে পেঁয়াজের দাম কম থাকলেও অন্য দোকানে খোঁজ করে আসতেই পাঁচ টাকা বেড়ে গেছে। তাই আপাতত কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে বাড়ি ফিরছি।