মোহনগঞ্জ প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ আসিফ নেওয়াজ রোকেয়া ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অফিস সময়ে সোয়া একটায় রোগী দেখার সময় অতিরিক্ত ভিজিট নিয়ে বির্তক বাজে। বিষয়টি সিভিল সার্জনকে অবহিত করলে তিনি বলেন, অফিস সময়ে রোগী দেখা, রোগের ক্ষেত্রে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা রাখার বিষয়টি তলিয়ে দেখছি।জানা যায়, শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১.০৫ মিনিটে একটি রোগী নিয়ে রোকেয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ডাঃ মোঃ আসিফ নেওয়াজ এর চেম্বারে অপর এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকের পরিচয়ে একজন কর্মচারী যায়। ডাক্তারের এটেনডেন্ট বলে মানসিক রোগীর ভিজিট ৫০০ টাকা। ৩০০ টাকা দিয়ে জোড়াজোড়ি করলে ও টাকা রাখেননি। ফেরত এসে বলে ভিজিট দিলে ৫০০ নতুবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সৌজন্যে একদম ফ্রি। এ সময়ে দুইজন সাংবাদিক সম্পূর্ণ বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শুনে ডাক্তারের কাছে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি মানসিক রোগীর ভিজিট ৫০০ টাকাই নিবেন বলে জোর গলায় বলেন।
এ ব্যাপারে দেড়টার পর ডাঃ আসিফ নেওয়াজ কে মোবাইলে একই ডাক্তারের ভিজিট ২ ধরনের কেন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার মানসিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ আছে। আমি বলি ফাইনাল পরীক্ষায় পাস না করা পর্যন্ত সার্টিফিকেট বৈধ নয়। পরে তিনি বলেন, ময়মনসিংহ গেলে বেশী টাকা লাগবে না। আমি বলি ময়মমনসিংহ গেলে অধ্যাপক দেখাবে, টাকা বেশী দিলে রোগীতো ভাল ডাক্তার দেখাতে পারল । অফিস সময়ে ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে কি ভাবে রোগী দেখেন প্রশ্ন করলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তাকে বললে, তিনি বলেন আমি এই মাত্র নেত্রকোনা থেকে এসেছি। তিনি আরো বলেন সিভিল সার্জনকে অবহিত করেন। নেত্রকোনা সিভিল সার্জন মোঃ সেলিম মিঞা কে অফিস সময়ে হাসপাতালের আউটডোর ত্যাগ করে প্রাইভেট ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে রোগী দেখা, একই ডাক্তারের ২ ধরনের ভিজিট নেয়ার বিষয়টি অবহিত করা হয়। তিনি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমি বিষয়টি তলিয়ে সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক/ সাবেক সহকারি পরিচালক- বলেন কোন কোর্সের পাঠ-১ পাঠ-২ সাইনবোর্ড লিখে নিজেকে বড় ডাক্তার জাহির করে অতিরিক্ত ভিজিট নেয়া বেআইনী।