মোহনগঞ্জ ( নেত্রকোণা) সংবাদদাতা। নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ হাসপাতালের কর্মচারীকে জরুরী বিভাগের ভিতর রোগীর স্বজনরা মারপিট করার প্রতিবাদে হাসপাতাল চত্বরে কর্মকর্তা- কর্মচারী সম্বনয়ে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ (১৪ মার্চ) রবিবার দুপুর ১ টায় মোহনগঞ্জ হাসপাতাল চত্বরে গতকাল দুপুরে রোগীর স্বজনরা কর্মচারী রনজন দেবনাথ (৩৫)কে বাথরুম থেকে টেনে এনে মারপিট করার প্রতিবাদে অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী মানববন্ধন ও মিছিল করেন। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন অবিলম্ভে আসামীদের কে গ্রেফতার করতে হবে। আজ ডাক্তারের ব্যাক্তিগত চেম্বার বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী বিভাগ খোলা থাকবে। আগামীকাল সকালে সবাই বসে কর্মসূচী দেয়া হবে। বিক্ষোভ মিছিলটি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে বসুন্ধরা মোড়ে শেষ হয়। গতকাল ১৩ মার্চ দুপুরে জরুরী বিভাগে পেরীরচরের রোগী ইকবাল (৪৫) কে নিয়ে আসলে জটিল অবস্থা দেখে রেফার্ড করা হয়। ঐ সময়ে জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সিলিন্ডারটি অন্য রোগীকে লাগানো ছিল। প্রাইভেট এম্বুলেন্স দিয়ে রোগী নেয়ার সময় ঐ অক্সিজেন সিলিন্ডারটি খোলে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। জরুরী বিভাগের দায়িত্বপালনরতরা বলেন, ইহা দেয়ার নিয়ম নেই। তখন উত্তপ্ত কথাবার্তা হয়। রোগী রওনা দেয়ার পর পর মারা যায়। এতে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে জরুরী বিভাগে এসে কর্মচারী রনজন দেবনাথ কে বাথরুম থেকে টেনে হেছরে এনে মারপিট করে। মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ কে অবগত করা হয়। পুলিশ আসলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ভিডি ফুটেজ দেখে মৃত রোগীর ভাতিজা রিয়াজুল কবির (২৫) আটক করে থানায় নেয়া হয়। গতকাল রাতে ওসি তদন্ত আখতারুজ্জামানের সাথে কথা হলে বলেন, মানবিক কারণে জিম্মায় আটককৃত রিয়াজুল কবির কে জামিন দেয়া হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পানা কর্মকর্তা ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামসুল আলম, আর এম ও ডাঃ সুবীর সরকার, এম ও ডাঃ অলক কান্তি তালুকদার, স্যানেটারি ইন্সপেক্টর শম্ভুনাথ সরকার, সেকমো বিপ্লব হোসেন, নার্স রিনা আক্তার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক শ্যামল চৌধুরী প্রমুখ। মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান বলেন, আজ ১৪ মার্চ মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজে বাদী হয়ে ১ জনের নামে ৪ জনের বেনামে লিখিত দেন। কর্মচারী মারপিট ও সবকারি কাজে বাধা প্রদানের ধারায় আজ দুপুরে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি আর বলেন আসামী ধরার চেষ্টা অব্যাহত আছে।