মোহনগঞ্জ (নেত্রকোণা) সংবাদদাতা। নেত্রকোণা জেলার মেহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ করোনা স্যাম্পল পরীক্ষা ফী দ্বিগুন নেয়ার লিখিত অভিযোগ দেয়ার ৩ দিন পর ও তদন্ত শুরু হয়সি ।
গত ৮ মে শনিবার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে থানা রোড, রাউৎপাড়ার ফরিদা ইয়াসমিন লিখিত অভিযোগ করেছের। তিনি জানান ২৮ এপ্রিল মোহনগঞ্জ হাসপাতালে করোনা টেষ্ট জোনে নমুনা দেই। তখন ল্যাব এটেন্ডেন্ট সাদ্দাম হোসেন খান ২০০ টাকা দাবী করে। তখন আমি বলি আমাদের পরিবারে ৩ জনের করোনা পজিটিভ হয়ে ছিল। জনপ্রতি ১০০ টাকা করে দিয়েছি। তখন সাদ্দাম হোসেন খান উত্তরে বলে সরকার টেষ্টের জিনিস ক্রয়ের টাকা দিচ্ছে না। তাই বেশী টাকা দিতে হবে। এ সময় আমার সাথে আরো ২ জন ছিল। তারা বেশী কেন বললে, ২০০ টাকাই দিতে হবে দাবী করে। কথা না বাড়িয়ে ২০০ টাকা দিয়ে চলে আসি। পরে অনেকের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার সুযোগ নেই।
ভাবতে অবাক লাগে করোনা মহামারীতে ও ঘুষ দিতে হয়। আমাদের মত সচেতন তিন জন লোকের উপস্থিতিতে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দ্বিগুণ টাকা আদায় করায় লিখিত আবেদন করলাম। আমি তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। নতুবা করোনা সহ সকল টেষ্টে মিথ্যা ও প্রতারণা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় সাদ্দাম খান অব্যাহত রাখবে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে সাদ্দাম হোসেন খানের সাথে কথা হলে, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, গ্লাব্স না থাকলে, রোগীর লোককে কিনে আনতে বলি। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর মোহাম্মদ শামসুল আলম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন সুযোগ নেই। তদন্তে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।