মোহনগঞ্জ ( নেত্রকোনা )সংবাদদাতা :
নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নামে তথ্য কমিশনের সমন জারী। আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, দৈনিক ভোরের ডাক ও দৈনিক সকাকলবেলা পত্রিকার মোহনগঞ্জ উপজেলার সাংবাদিক কামরুল ইসলাম রতন মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে তথ্য অধিকার আইনে হাসপাতালের তথ্য চেয়ে আবেদন করেন। ঐ সময়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূর মোহাম্মদ শামসুল আলম তথ্য না দিয়ে মনগড়া মত উচ্চ পর্যায়ের অনুমতি সার্জন বরাবরে আপীল আবেদন করি। সিভিল সার্জন ১৩০ টাকা চালান মূলে সরকারি তহবিলের জমা দেওয়ার জন্য আমাকে চিঠি দেন। আমি যথারীতি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে চালান কপি ডাক রেজিস্ট্রি যোগে সিভিল সার্জন বরাবরে প্রেরণ করি। সিভিল সার্জন তার কার্যালয় হতে তথ্য আনার জন্য আমাকে চিঠি দিন। আমি যথারীতি নেত্রকোনা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এর কাছ থেকে ৪০ পাতার তথ্য গ্রহণ করি। বারবার ৪০ পাতার তথ্য পরে দেখি আমার চাহিদার মত তথ্য দেওয়া হয়নি। খোরশেদ আলমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মোহনগঞ্জ হাসপাতাল হতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আমার কোন বক্তব্য নেই। পরের দিন মোহনগঞ্জ হাসপাতালের প্রধান সহকারী মোঃ মাহবুবুর রহমান খান এর সাথে হাসপাতালে গিয়ে কথা বললে, কি বলেন ৪০ পৃষ্ঠার তথ্যর সাথে বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্মকর্তা ১২ টি মন্তব্য করে স্বাক্ষরিত কাগজ সংযোজন করে পাঠিয়েছেন। আমার চাহিদা মত তথ্য না পাওয়ায় প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর তথ্য আইনে আবেদন করি । তথ্য কমিশন আমার আবেদনটি আমলে নিয়ে ১০৩/২২ নম্বর দিয়ে বাদী বিবাদী নামে প্রথম দফায় সমন পাঠান। বাদী হিসাবে আমি ৮ জুন ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু বিবাদী গড়হাজির থাকেন । দ্বিতীয়বার ১৩ জুলাই শুনানিতে আমি অংশগ্রহণ করি। বিবাদী গড়হাজির থাকেন । তথ্য কমিশন ২৫ শে জুলাই তৃতীয়বারের মত শ্তনানী তারিখ নির্ধারণ করে বাদী বিবাদীর নামে পূর্ণরায় ডাক রেজিস্ট্রি যোগে সমন পাঠান। আগামীকাল সোমবার তৃতীয়বারের মতো আমি কামরুল ইসলাম রতন ভার্চুয়াল শুনানিতে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি । আশা করছি আগামীকালের অভিযোগ শুনানি করিয়া নিষ্পত্তি করা হইবে ।