মোহনগঞ্জ ( নেত্রকোনা ) সংবাদদাতা :
নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৩ নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের পশুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাজিরা খাতা স্কুলের স্টিলের আলমারীতে তালা মারা থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে সরেজমিন পরিদর্শনে।
১২ মে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে পশুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ জন সহকারী শিক্ষক বিকাশ দেবনাথ ও মনিরা ইয়াসমিন কে পাওয়া যায় । শিক্ষক হাজিরা খাতা ও শিক্ষার্থী হাজিরা খাতা কোথায় জানতে চাইলে, উভয়েই বলেন প্রধান শিক্ষক আলমারিতে তালা মেরে রেখেছেন । তাহলে আপনাদের ও শিক্ষার্থীদের হাজিরা কিভাবে দিবেন প্রশ্ন করলে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তারা জানান অত্র বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন । প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম মাসিক মিটিংয়ে গিয়েছেন। সুব্রত চক্রবর্তী তিনি উপজেলা শিক্ষা অফিসে দীর্ঘদিন যাবৎ আছেন। অপর শিক্ষক এস এম সুফিয়ান সোলেমান সন্তানের চিকিৎসা জনিত কারনে ছুটিতে আছেন।
অত্র স্কুলে শিশু শ্রেণি ১৭ জন, ১ম শ্রেণি ৪২ জন, ২য় শ্রেণি ২৮ জন, ৩য় শ্রেণি ৩২ জন, ৪র্থ শ্রেণী ৩৮ জন ৫ম শ্রেণি ২৯ জন শিক্ষার্থী আছে। ১৮৬ জনের মধ্যে ৮ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত পেয়েছি। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর একজন শিক্ষার্থী স্কুলে আসেনি । মনিটরিং বোর্ডে কোন তথ্য নেই । সব তথ্য ঘর ফাঁকা । বারিন্দার অর্ধেক অংশ ইট স্তূপীকৃত অবস্থায় আছে। চারটি কক্ষের মধ্যে ১ টি অফিসের জন্য , ৩ টি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। ৩ টি কক্ষেই আবর্জনা রয়েছে। স্কুল চত্বরে রয়েছে ধান ,খড় ,ও গরু । যেন স্কুলের সম্মুখের জায়গাটি বেদখল । স্কুলে অবস্থানকালে উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ সাহা কে সব বিষয়ে মোবাইলে অভিহিত করা হয় । এ ব্যাপারে বার বার কল করার পর সন্ধ্যায় প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেছেন, সুব্রত চক্রবর্তী কে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দিপালী সরকার মোবাইল করে নিয়ে যান। আমার করার কি আছে। সুব্রত কে নিয়ে সাংবাদিকরা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। স্কুলের আলমারির চাবি শিক্ষকদের কাছে আছে। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। প্রয়োজনে দিপালী সরকার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে জিজ্ঞেস করুন।