মোংলা প্রতিনিধিঃ বাগেরহাট জেলাস্হ বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন একটি স্বাধীনপরবর্তী নগর এরিয়া মোংলা “পোর্ট পৌরসভা”। যা ১৯৭৫ সালে স্হাপিত হয়ে বর্তমানে ১ম শ্রেনীতে উন্নীত।সর্বশেষ পৌরসভার নির্বাচন হয়েছে ১৩/০১/২০১১ইং খ্রীস্টাব্দে , প্রথম সভা হয় ২০/০২/২০১১ ইং খ্রীস্টাব্দে।সেই হিসাবে পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা ১৯/০২/২০১৬ ইং খ্রীস্টাব্দ তারিখে,কিন্তু মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়া সত্ত্বেও বর্তমান মেয়র তার নিজস্ব লোক দিয়ে সেচ্ছায় পরিকল্পনা করে একবার মিথ্যা ও ভুয়া সীমানা জটিলতা,আরেক বার ওয়ার্ড ভিভাজন চেয়ে একবার আবুল কালাম আযাদ, আরেক বার আঃ কুদ্দুস মোল্লা কে বাদী বানিয়ে শুধু শুধু মহামান্য হাইকোর্টে মামলা করে,যেনো মোংলা পৌরসভার নির্বাচন না হয়।বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্ট এর সকল মামলাগুলো বিজ্ঞ বিচারপতি মহোদয় গন খারিজ করিয়া দিয়েছেন।তাতেও মেয়াদ উত্তীর্ন মেয়র থেমে থাকেনি- সর্বশেষ ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বি এন পি নেতা মেয়র জনাব জুলফিকার আলির আস্হাভান ও ডান হস্ত আঃ রাজ্জাক ফকির কে দিয়ে মোংলা ইউ.এন.ও বরাবরে একটা লিখিত অভিযোগ করান।বিষয়টা হলো- তার ওয়ার্ডে ভোট সংখ্যা বেশি, ৪ নং ওয়ার্ডকে ভাগ করা হোক এবং ৪ নং ওয়ার্ডের আরো ২০ জনের ভুয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে আরো একটি দরখাস্ত ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আঃ রাজ্জাক ফকির কে দিয়ে করান, কিন্তু সেটাও ইউ.এন.ও মহোদয় আমোলে না এনে যাচাই বাচাই করে আইনানুগ মতামত পেশ করেন।এতোই যদি তার (মেয়াদ উত্তীর্ন মেয়রের) জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে আজ ৫ বছর নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হলো তবু নির্বাচন দিতে ভয় পান কেনো?সেই সাথে নির্বাচন কে ঠেকানোর জন্য,সাধারন জনগনের ভোটের অধিকার হরন করে একের পর এক মিথ্যা মামলা ঠুকে নির্বাচন বানচাল করেন কেনো?মেয়াদ উত্ত্বীর্ন মেয়রকে জিজ্ঞেস করলে বলে-আমি এর কিছুই জানিনা।তাই এখন পৌরবাসীর একটাই দাবী-আমাদের বুঝতে আর বাকী নাই-কি?কেমনে?কোথায় ঘটতেছে? তাই জরুরী ভিত্তিতে মোংলা পৌরসভার নির্বাচন দেওয়া এবং নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ‘প্রশাসক’ নিয়োগ দেওয়া,পাশা পাশি জাতির জনক, শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংগালী, বঙ্গবন্ধু,স্বাধীনতার মহান স্হপতি “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান” ও “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী” মানবতার সেবিকা জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি পদদলীত কারী বি এন পি নেতা মেয়াদ উত্ত্বীর্ন মেয়র জনাব মোঃ জুলফিকার আলি এর বিরুদ্ধে মোংলা থানায় এজাহার করা মামলায় চার্জশিট দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে শোকের মাসে জাতীর জনকের রুহের মাগফিরাত কামনা করছেন মোংলা পৌরবাসী।