মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন ও ভূয়া মনগড়া স্ট্যাটাস পোস্ট করার অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সদস্য নজরুল ইসলাম ও তার সহযোগীকে দায়ি করে ৩ ফেব্রুয়ারি জিডি করেন, মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শফিক সরকার । যাহার নম্বর-১৪৫। তারিখ-০৩/০২/২০২১ ইং। অভিযোগ উঠেছে, ভিন্ন পেশার কয়েক ব্যক্তি মুক্তাগাছায় সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি ও প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে
। তাদের এইসব কর্মকান্ড প্রকৃত সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি সমাজে মূল ধারার পেশাজিবীদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে । অভিযোগ উঠেছে, মুক্তাগাছা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের এক ভেন্ডার এই অপতৎপরতার মূল হোতা । তার প্রধান সহযোগী হিসাবে কাজ করছে একটি কাপড়ের দোকানের সাবেক দর্জি । এরা নিজেরা নিজেদেরকে সাংবাদিক হিসাবে দাবী করলেও ঐ প্রতিষ্ঠানগুলির নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছে ,তারা অদ্যাবধি পর্যন্ত তাদের
নিজস্ব সংগঠনে সম্পৃক্ত । ভেন্ডার সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের ও দর্জি সমিতির সভাপতি আ. মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ জানান, ধুম্রজালের সৃষ্টি করে এরা এক সময় মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের কর্মকান্ডে অংশ
নিলেও তাদের স্বরূপ প্রকাশ পাওয়ায় সংগঠন থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে । বিতাড়িত হওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃন্দদের বিভ্রান্ত করে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বিভ্রাট সৃষ্টি, অপপ্রচার,কূটকৌশলসহ নানান অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মুক্তাগাছা উপজেলার
রঘুনাথপুর দাখিল মাদ্রাসা ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি আরিফ রব্বানি ও সদস্য ফরিদুল ইসলাম দুলাল জানান, দাওগাঁও ইউনিয়নের পোড়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ভেন্ডার নজরুল ইসলাম পরিচয় গোপন করে মাদ্রাসার সুপার হিসাবে নিয়োগ নেয় । এক পর্যায়ে মাদ্রাসার কাগজপত্র সম্পাদনের নামে প্রতারণামূলকভাবে সভাপতির নিকট থেকে সাড়ে ৬লাখ
টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তাগাছা পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম জানান, একটি প্রকাশনায় অন্যের লেখা হুবুহু নকল করে নিজের নামে প্রকাশ করায় তাকে শাস্তি দেয়া হয়। মুক্তাগাছার সাবেক ইউএনও সূবর্ণা সরকার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,
আইটি নিয়ে বিভ্রান্ত ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে অসদাচরণ এবং অপপ্রচার করায় তাকে উপজেলা পরিষদ থেকে বিতাড়িত করা হয় । মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব শফিক সরকার জানান, মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে বিভান্তমূলক
পোস্ট দিয়ে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে ।মুক্তাগাছার বস্ত্র ব্যবসায়ী রুপক চন্দ্র জানান, হেলাল উদ্দিন নয়ন এক সময় আমার দোকানের দর্জি ছিল । দোকান গুটিয়ে নেয়ার পর সে চলে যায় । স্থানীয় রংমিস্ত্রি হারুন জানান, রঙ – তুলি ও ব্রাস নিয়ে আমাদের সাথে কাজ করতেন। এখন তাকে কাগজপত্র নিয়ে অফিস আদালতে দেখা যায় । আগের মত আমাদের সাথে কাজে পাই না । বাঁশাটি ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা কেরামত আলী জানান, তার পিতা স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন রাজাকার ও পিস কমিটির সদস্য ছিলেন ।পরবর্তীতে তিনি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকাবস্থায় মারা যান । মুক্তাগাছায় কর্মরত সাংবাদিকরা জানান, সম্প্রতি তাদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করায় তাদের দিনের আলোয় খুব একটা দেখা
মেলে না। মুক্তাগাছা মেইনরোড বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিসমিল্লাহ হোটেলের শ্রমিকরা জানান, তারা আমাদের হোটেলে গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডায় বসেন । আমরা অর্ডার অনুয়ায়ি চা নাস্তা পরিবেশন করতে গেলে তারা তাদের আলাপচারিতা বন্ধ করে দেন । তারা গভীর কোন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন বলে আমাদের ধারনা । এদিকে দৈনিক সবুজ পত্রিকায় মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিক সরকার বহিস্কার শিরোনামে একটি লিখা প্রকাশ করা হয়। লিখায় পাঠককে আপনি বলে দায়ি করে ভেতরে অগোছালো বর্ণনায় দোষারোপ করা হয়। সারবস্তু বোঝা না গেলেও মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবকে নিয়ে জড়ানোয় সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়। ভবিষ্যতে এরকম লেখা প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য পত্রিকা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।