Friday , 22 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচন: শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
--প্রেরিত ছবি

মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচন: শেষ মুহুর্তের প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা

মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি;
রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ। শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচন।
ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভায় মেয়র পদে এবার পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা
করছেন। তারা পৌরসভার উন্নয়ন, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত এবং পৌরবাসীর দুঃখ-দুর্দশায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে
মুক্তাগাছা পৌরসভার নির্বাচন। এবারের নির্বাচন নিয়ে সব বয়সের মানুষের মধ্যে যথেষ্ট
আগ্রহ দেখা গেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। সব মিলিয়ে সরগরম মুক্তাগাছার তৃণমূলের রাজনীতি। মধ্যরাতেই সকল প্রার্থী বন্ধ করেছেন তাদের প্রচার-প্রচারণা।
মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. তাজুল রায়হান জানান, পৌর
নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৫৯৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ৫৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার ২০ হাজার ১৪ জন।
সরেজমিনে মুক্তাগাছা পৌর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পৌর এলাকায় এখন নির্বাচনি হাওয়া
বইছে। প্রার্থীরা লিফলেট বিতরণ, পোস্টার সাঁটিয়ে, ব্যানার টানিয়ে ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে
নির্বাচনি মাঠে নিজেদের প্রার্থী হওয়ার খবর জানাচ্ছেন। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চালাচ্ছেন জোর প্রচার-প্রচারণা। পাড়া-মহল্লার
চায়ের দোকানও জমে উঠেছে নির্বাচনি আলোচনায়।
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধীকারী পাঁচ জন হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার (নৌকা), বিএনপি
মনোনীত সাবেক পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শহীদ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান লেলিন (জগ) স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্রাম আলী ভুলু (নারিকেল গাছ) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল কাশেম (মোবাইল ফোন) নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।
আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল
হোসেন সরকার বলেন, দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী প্রথম শ্রেণির মুক্তাগাছা পৌরসভা। সাবেক
মেয়র মুক্তাগাছা পৌরসভায় কোনও উন্নয়ন করতে পারেননি। তিনি শুধু সাধারণ মানুষকে আশার কথা শুনিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে, মুক্তাগাছা পৌরসভা হবে দেশের অন্যতম একটি মডেল পৌরসভা। এদিকে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, গতবার জনগণের ভালোবাসা ও ভোটে আমি মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। গরীব এবং মেহনতি মানুষের পাশে সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। তাই এখানকার ভোটাররা ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। যদি অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোট হয় তাহলে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, মুক্তাগাছা পৌরসভার নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে
মোট ভোট কেন্দ্র ১৭টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোট কেন্দ্র ০৪টি, মহিলা ভোট কেন্দ্র ০৪ এবং উভয়
ভোট কেন্দ্র ৯টি। ভোট কক্ষ ১১৩টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষ ৪টি। আগামীকাল ১৬ জানুয়ারি
১৭টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply