মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: অসুস্থ্য বাবাকে দেখতে এসে রাজিব পরিবহনের হেলপার ও তার সহযোগির কাছে এক নৃত্য প্রশিক্ষক রোববার রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতার বাড়ি জেলার নান্দাইল উপজেলার কাবাড়ি গ্রামে। এ ঘটনায় রাজিব পরিবহনের হেলপার আরিফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। তার বাড়ি মুক্তাগাছার রামাকানা গ্রামে। মুক্তাগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। অন্যদিকে মুক্তাগাছা শহরের পয়ারকান্দি গ্রামের নুরতাজ মিয়ার ৮ বছরের শিশুকন্যা পরশী হযরত আলীর পুত্র হামিম কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মামলা হয়েছে। ধর্ষক হামিমকেও পুলিশ গ্রেফতার করে।
থানা পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার আমোদপুর গ্রামের এক যুবতী মেয়ে গাজীপুরর শ্রীপরে একটি নৃত্য সঙ্গিতালয়ে নৃত্য প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। রোববার বিকেলে তার অসুস্থ্য বাবাকে দেখতে ট্রেন যোগে ময়মনসিংহ আসে। এর পর সে নগরীর দিঘারকান্দা বাইপাস মোড় থেকে ভুলক্রমে জামালপুরের রাজিব পরিহবনের উঠে। ওই বাসের হেলাপার আরিফ হোসেন ওই মেয়েকে বিয়ের কথা বলে ফসুলিয়ে তার বাড়ি মুক্তাগাছার রামাকানা গ্রামে নিয়ে আসে। বাড়ি যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রামাকানার এক আকাশি গাছের বাগানে নিয়ে মেয়েটিকে সে ধর্ষণ করে। এর পর ওই রাতেই তার সহযোগি একই গ্রামের আজিজুলও বাড়ির পাশের কাসাবা (শিমলা আলু ) বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, রাজিব পরিবহনের হেলপার আরিফ ও তার এক সহযোগি ওই মেয়েকে ধর্ষণ করে। আরিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য ধর্ষণ মামলার আসামী হামিমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।