মুক্তাগাছায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি: মুক্তাগাছার পল্লীতে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গভীর রাতে স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুত্বর যখম করার খবর পাওয়া গেছে। স্ত্রী তাকমিনা গুরুত্বর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত দেড়টায় উপজেলার নামা মহিষতারা গ্রামে।

জানা যায়, নামা মহিষতারা গ্রামের আব্দুর রহিমের কন্যা তাকমিনাকে ৫ বছর পূর্বে একই উপজেলার ঘোগা গ্রামের সুরুজ আলীর পুত্র হাসান আলীর কাছে বিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান হয়। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেয়া হয়। কিছুদিন পর স্বামী হাসান আলী নেশা, জুয়া ও বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়ে বাড়ি এসে স্ত্রীকে নানা ধরনের নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীতে হাসান আলী তাকমিনাকে তাদের বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা আনার জন্য চাপ দেয়। হতদরিদ্র পরিবার যৌতুকের টাকার কোন ব্যবস্থা করতে পারেনি। পরবর্তীতে হাসান আলী তার স্ত্রীকে মারধর করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। গত তিন মাস যাবৎ তাকমিনা তার শিশু কন্যাসহ পিত্রালয়ে অবস্থান করছে। গত ৬ অক্টোবর রাত দেড় টায় হাসান আলী ২/৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আধারে নামা মহিষতারা শশুরবাড়ী গিয়ে তাকমিনার ঘরের দরজার বান কেটে প্রবেশ করে, মুখে কাপড় দিয়ে বেধেঁ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকমিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে মৃত ভেবে বাড়ির উঠানে ফেলে যায়। বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বেড়িয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় ময়মনসিংহ বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এদিকে হাসান আলী মোবাইল ফোনে তার শশুরবাড়ীর লোকজনদের মামলা করলে হত্যা করার হুমকি দিচ্ছে। তাকমিনা ও তার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।