মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছা বিনোদবাড়ী মানকোন দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে লোক নিয়োগে ঘোষ বাণিজ্যের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে। বিনোদবাড়ী মানকোন দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা দাতা সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে জানা যায়, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় তার বসত ভিটা বাদে একমাত্র আবাদি ১০ শতাংশ জমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মাদ্রাসায় দান করেন। প্রতিষ্ঠানটির সূচনা লগ্নে একজন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী বিল্লাল হোসেনের পরিবার থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপার গোপনে টাকার বিনিময়ে অন্য লোককে নিয়োগ দেন। এ নিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ইউপি মেম্বারকে নিয়ে দেনদরবার হয় বলে তিনি জানান। সর্বশেষ দরবারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী সময়ে ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ হলে তার পরিবার থেকে ১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। সে সময় যাহারা শালিস করে ছিলেন তাদের অনেকেই এখনও জীবিত আছেন বলে জানান। বিল্লাল হোসেন বলেন এতদিন অপেক্ষায় ছিলাম। সম্প্রতি সুপার সাহেব ২ জন ৪র্থ শ্রেণী কর্মচারী নিয়োগের জন্য গোপনে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বিষয়টি আমি জানতে পেরে পত্রিকা সংগ্রহ করে আমার ছেলে আবু হানিফকে দিয়ে আবেদন করাই। পরস্পর জানতে পারলাম সুপার সাহেব সভাপতির যোগসাজুসে জনৈক প্রার্থীর নিকট হতে ৮ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে চাকুরী দেওয়ার পায়তারা করছেন। বিষয়টি জানার পর সুপার সাহেবসহ কমিটির অন্যন্য লোকদেরকে নিয়ে আমার ছেলেকে চাকুরী দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। কিন্তু সুপার সাহেব জানান ৮ লক্ষ টাকা হলে চাকুরী পাওয়া যাবে। তিনি জানান আমি অত্যন্ত গরিব মানুষ দিন মজুরের কাজ করে সংসার চালাই। আমার বাড়ি ভিটা ছাড়া অন্য কোন সম্পদ নাই। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সময় আমাকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমার শেষ সম্বলটুকু মাদ্রাসায় দান করার উৎসাহ দিয়েছিলেন পরবর্তীতে মাদ্রাসা সুপারসহ অন্যন্যারা আমাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন না। বিষয়টি মাননীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।