Thursday , 21 November 2024
E- mail: news@dainiksakalbela.com/ sakalbela1997@gmail.com
ব্রেকিং নিউজ
মুক্তাগাছায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
--প্রেরিত ছবি

মুক্তাগাছায় মহিলা ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মাহমুদুল হাসান:

মুক্তাগাছায় বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা ও আটা কার্ডের প্রলোভন দেখিয়ে শত শত মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক, মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ১০নং খেরুয়াজানী ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তাগাছা প্রেসক্লাব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এতে এলাকায় জনমনে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। জানা যায়, উপজেলার ১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য সাবিনা ইয়াসমিন গ্রামের সহজ সরল মানুষের অন্ধ বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রথমে বাজার থেকে আটার বস্তা কিনে আটা কার্ডের কথা বলে কিছুু সংখ্যক মানুষের মাঝে বিলি করেন। এরই মধ্যে হতদরিদ্রদের মাঝে ৬৫০ টাকার আটা কার্ডে ৩ বছর মেয়াদী ৫ কেজি পরিমাণ আটা ৯ বার দেয়া হবে বলে প্রচার-প্রচারণা করতে থাকে। এ কার্ডের আওতায় একই পরিবারের সকল সদস্যসহ যেকোন জায়গার বাসিন্দারাও এ কার্ডের আওতায় আসতে পারবে বলে জনপ্রতি ৬৫০ টাকা নেন। এতে শত শত সাধারণ হতদরিদ্ররা আটা কার্ড পাওয়ার আশায় মহিলা ইউপি সদস্যের স্মরণাপণ্য হলে তিনি বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা পাইয়ে দেয়ার নাম করেও টাকা আত্মসাত করতে থাকেন। ভুক্তভোগী মোতালেব মিয়া বলেন, আমি তেইশ জনের কাছ থেকে আটা কার্ডের জন্য টাকা তুইলা নিয়া সাবিনা আপারে দিছি। আমারে বলছে তিনমাস পর পর নয় বার আটা দিবো। এখন আটাও দেয়না টাকাও দেয়না। বিধবা আনোয়ারা বেগম বলেন, আটা কার্ডের পাশাপাশি বিধবা কার্ড করে দিবে বলে আমার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা নিছে। তারপর বিধবা কার্ড কইরা না দেওয়ায় আমি তার কাছে গেলে আমার সাথে নানান ধরনের বাহানা করতে থাকে। তার কাছে গেলে আমারে চিনেই না।

ভুক্তভোগী সালেহা বেগম জানান, আটা কার্ডের টাকাতো নিছেই আবার আমারে খবর দিয়া নিয়া আমার খুরা জিয়ের পঙ্গু ভাতা কইরা দিবো কইয়া তিন হাজার টাকা নিছে। আটা তো দিলোই না পঙ্গু ভাতার কার্ডও দিলোনা।

এ ব্যাপারে ১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। তবে ভুক্তভোগীরা আমার কাছে এখনও কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আমি অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে সার্ভে করাচ্ছি। সে যদি অপরাধ করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এ লুৎফর রহমান বলেন, ১০নং খেরুয়াজানী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

About Syed Enamul Huq

Leave a Reply