অনলাইন ডেস্ক:
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছায় এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে, বুধবার দুপুরে (১০ মার্চ) পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে । গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান (৪৬) উপজেলার পাহাড় পাবইজান গ্রামের বাসিন্দা । ৯ মার্চ একটি পরিত্যক্ত স্থানে কয়েকজন মিলে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় । এর আগেও ধর্ষণের শিকার হন ঐ নারী ।
অভিযোগকারীর অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়দা গ্রামে ২০১২ সালে ধর্ষণের শিকার ঐ নারীর বিয়ে হয় । ২ বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে । তাদের ৭ বছর বয়সী একজন পুত্র সন্তান আছে । সন্তান বাবার কাছে থাকে । সন্তানকে দেখতে মাঝে মধ্যে স্বামীর বাড়িতে আসতেন । এরই মাঝে প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম তাদের স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক জোড়া লাগানোর আস্বাস দেয় । চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাইফুল নিজেই তাকে বিয়ে করার প্রলোভন দেয় । এরই ধারাবাহিকতায় গত ৭ ও ১১ ফেব্রুয়ারি যথাক্রমে মুক্তাগাছা শহরের একটি বাসায় এবং একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে গিয়ে সাইফুল ইসলাম তাকে ধর্ষণ করে ।
এদিকে ৯ মার্চ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিতে আসেন । সেময় আব্দুল কাদের ও খলিলুর রহমানের সাথে পরিচয় হয় । সে সুবাদে ঐ দিন রাতের বেলায় উপজেলার বেরুলিয়া এলাকায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে একটি আম গাছের নিচে পরিত্যক্ত স্থানে আবারও তাকে উপরোক্তরাসহ ৫/৬ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।