মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: মুক্তাগাছায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে
সংঘবদ্ধভাবে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রসহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বাড়ি-ঘরে হামলা,
মালামাল লুটের ঘটনায় ১ আসামী জেল হাজতে থাকলেও বাকী আসামীরা
জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীকে হত্যার হুমকিসহ নানা ভাবে হয়রানি করছে বলে
অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার বাসুরী গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের পুত্র জামাল মিয়া
এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারী হিসেবে পরিচিত। কিছুদিন
পূর্বে র্যাবের অভিযানে তার বাড়ি থেকে গাজা গাছ উদ্ধার হয়। র্যাবের লোকজন
একই গ্রামের মকবুল হোসেনকে যে বাড়ি থেকে গাজা উদ্ধার হয় বাড়ির
মালিকের নাম জানতে চায় তখন মকবুল হোসেন জামালের বাড়ি বলে জানায়।
এরই সূত্রতার জের ধরে মাদক ব্যবসায়ী জামাল নিরীহ মকবুল হোসেনকে সন্দেহ
করে সে র্যাবকে খবর দিয়ে এনেছে বলে মনে করে। তারপর থেকেই জামাল ও তার
পরিবারের লোকজন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে মকবুল ও তার পরিবারের লোকজনদের
অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ৩০
সেপ্টেম্বর বেলা ২ টায় আবুল কাশেমের নেতৃত্বে জামালসহ ৭/৮ জনের একটি
সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ মকবুলের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ভাংচুর,
মালামাল লুট করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে মকবুলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তারের উপর
হামলা করে তার গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেন। এ সময় হামলাকারীরা
লোহার রড দিয়ে ফাহিমার মাথায় আঘাত করে এবং ডান হাতের বাহুতে আঘাত
করে হাড় ভাঙ্গা যখম করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে
হামলাকারীরা চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুক্তাগাছা হাসপাতালে
ভর্তি করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ময়মনসিংহ
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় ৫
জনকে আসামী করে মামলা হয়। মামলা নং- ১৪ তারিখ- ৯/১০/২০ ইং। এদিকে মামলার
আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামাল
মিয়াকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়ে বাকি আসামিদের জামিন মঞ্জুর
করেন। এদিকে আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে বাদী ফাহিমা আক্তার ও তার
স্বামী মকবুল হোসেনকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে যে,
জামাল মিয়া বেরিয়ে আসলেই তাদেরকে মেরে লাশ টুকরো টুকরো করে ফেলা
হবে। বাদী ও তার পরিবারের লোকজন আসামীদের ভয়ে চলাচল করতে পারছে না। যে
কোন সময় তাদের উপর হামলাসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে শুক্রবার
বাদী ফাহিমা আক্তার মুক্তাগাছা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। এ
ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে।